ফাইল ছবি
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘ওহ লাভলি!’ যেখানেই যান, এই বুলি শোনা যায় তাঁর মুখে। ঠোঁটের কোণে লেগে থাকে হাসি, চোখে থাকে সানগ্লাস। কেন সারাক্ষণ রঙিন চশমা পরে থাকেন মদন মিত্র (Madan Mitra)? সেই রহস্য এতদিনে ফাঁস হল। কামারহাটির বিধায়ক (TMC MLA) নিজেই জানালেন ‘গোপন কথাটি’।
বাংলার রাজনীতিতে মদন মিত্র মানেই গ্ল্যামার। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েও নায়কের মতো জিপে করে তিনিই বাড়ি ফিরতে পারেন, আবার রিকশাওয়ালাকে তাঁরই রিকশায় বসিয়ে নিজে চালক হয়ে যেতে পারেন। ‘মদন দা’ মানেই অনুরাগীদের ভিড় ও সেলফি তোলার আবদার। কাউকে ফেরান না তৃণমূল নেতা, সবার আবদার রাখেন। চোখে কালো চশমা পরেই পোজ দেন হাসি মুখে। সোমবার তৃণমূল ভবনেও তেমন সেই একই দৃশ্য দেখা গেল।
এদিন কালো টি-শার্ট ও কালো ট্রাউজারেই তৃণমূল ভবনে এসেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। তাঁকে দেখা মাত্রই চলে আসেন অনুরাগীরা। প্রথমে সকলের সেলফি তোলার আবদার মেটান মদন মিত্র। তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তখনই তৃণমূল নেতাকে তাঁর চোখের চশমা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, কেন সারাক্ষণ চোখে সানগ্লাস পরে ঘুরে বেড়ান মদন মিত্র? উত্তরে কামারহাটির বিধায়ক জানান, শুধু সানগ্লাস না, মুনগ্লাসও পরেন তিনি। দিনে চোখ ঢাকতে ব্যবহার হয় সানগ্লাস, আর রাতে মুনগ্লাস। কিন্তু কেন চোখ ঢাকেন ‘প্রভাবশালী’ নেতা? নিজের চোখ ঢেকে অন্যের মনের কথা সহজেই বুঝে নিতে চান তৃণমূল নেতা। কিন্তু নিজের চোখের ভাষা কাউকে বুঝতে দিতে চান না। সেই কারণেই চোখ ঢেকে রাখেন বলে জানান। যেমন-তেমন সানগ্লাস ও মুনগ্লাস পরেন না কামারহাটির বিধায়ক। বিদেশ থেকে তাঁর এক বন্ধু এগুলি পাঠিয়ে দেন। সেগুলি পরেই ক্যামেরার সামনে পোজ দেন বলে জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.