ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মস্তিষ্কে জমাট বাঁধা রক্ত, অস্ত্রোপচার সফলই হয়েছে। তার পরও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন বর্ষীয়ান তৃণমূল (TMC) নেতা মুকুল রায়। এখনও তিনি রয়েছেন আইসিইউ-তে। ফলে ৭০ বছর বয়সি নেতাকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে পরিবার, পরিজনদের। চিন্তিত দলের সহকর্মীরাও। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে এখনই বিশেষ কিছু প্রকাশ্যে আনতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে মুকুলবাবু যে স্থিতিশীল, তা জানানো হয়েছে শুক্রবার।
বুধসন্ধ্যায় আচমকাই বাড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই হাসপাতালেই বরাবর চিকিৎসা হয় তাঁর। বুধবার যখন মুকুল রায়কে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, তখনও তাঁর জ্ঞান ছিল না। তড়িঘড়ি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড (Medical Borad) তৈরি করে শুরু হয় চিকিৎসা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। তার জন্য অস্ত্রোপচারও (Operation)করা হয়েছে। অপারেশনের পর তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে এখনও তাঁর আচ্ছন্ন ভাব কাটেনি। আইসিইউ-তেই (ICU) রয়েছেন মুকুল রায়। ছেলে শুভ্রাংশু হাসপাতালে বাবার সর্বক্ষণের সঙ্গী।
শুক্রবার মুকুল রায়কে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি ফিরে সোশাল মিডিয়া (Social Media) পোস্টে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। দলের বর্ষীয়ান সতীর্থকে হাসপাতালের বিছানায় দেখে যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন কুণালবাবু, তা তাঁর পোস্টেই স্পষ্ট। X হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ”মুকুল রায়কে দেখে এলাম। অ্যাপোলো আইসিইউ। খারাপ লাগল। আজ ভেন্টিলেশনের বাইরে। কিন্তু মস্তিষ্ক অচল। শুভ্রাংশু ডাকল। সাড়া দিল না। ডাক্তাররা বলছেন, পর্যবেক্ষণ ও অপেক্ষা। সক্রিয়দের এই নিষ্ক্রিয় ছবি বেদনাদায়ক। মতপার্থক্য ভুলিয়ে মন ভারাক্রান্ত করে দেয়। মুকুলদা সাড়া দিক। সেরে উঠুক।”
মুকুল রায়কে দেখে এলাম। অ্যাপোলো আইসিইউ। খারাপ লাগল। আজ ভেন্টিলেশনের বাইরে। কিন্তু মস্তিষ্ক অচল। শুভ্রাংশু ডাকল। সাড়া দিল না। ডাক্তাররা বলছেন, পর্যবেক্ষণ ও অপেক্ষা। সক্রিয়দের এই নিষ্ক্রিয় ছবি বেদনাদায়ক। মতপার্থক্য ভুলিয়ে মন ভারাক্রান্ত করে দেয়। মুকুলদা সাড়া দিক। সেরে উঠুক।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 5, 2024
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.