শুভঙ্কর বসু: উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের (Hemtabad) বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু নিয়ে আপাতত সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই সিআইডি এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে। তবে সিআইডি তদন্তে খুশি নন নিহতের পরিজনেরা। পরিবর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা তাঁদের। স্বামীর মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি বিধায়কের স্ত্রী চন্দিমা রায়। জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি চেয়ে শুক্রবার অনলাইনে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার সাতসকালে রায়গঞ্জের বিন্দোল পঞ্চায়েতের বালিয়া গ্রামে তাঁর আদি বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে রাস্তার ধারে বন্ধ চায়ের দোকানে বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, ঘটনার আগের দিন গভীর রাতে বেশ কয়েকজন যুবক তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর এমন কাণ্ড ঘটেছে। এছাড়াও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের সময় বিধায়কের হাত বাঁধা ছিল। তাই এই ঘটনাকে খুন বলেই দাবি করতে থাকেন বিধায়কের স্ত্রী চন্দ্রিমা রায়। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ উদ্ধারের সময় নিহতের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সুইসাইড নোটে দু’জনের নামও লেখা ছিল। ঘটনার তদন্তভার সিআইডি’র হাতে দেয় রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়। ইতিমধ্যে ওই সুইসাইড নোটে নাম থাকা দু’জনের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এদিকে, সামনে আসে বিধায়কের ময়নাতদন্ত রিপোর্টও। তাতে আত্মহত্যার তত্ত্ব স্পষ্ট বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
যদিও সিআইডি’র নানাবিধ দাবি মানতে নারাজ নিহত বিধায়কের পরিবার। তাঁদের দাবি, সিআইডি তদন্ত করে কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করছে না। পরিবর্তে পুরোটাই সাজানো। সেই অভিযোগেই সিআইডি তদন্তের উপর আস্থা হারিয়েছেন নিহতের পরিজনেরা। পরিবর্তে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা। জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি চেয়ে শুক্রবার অনলাইনে আবেদন জানিয়েছেন নিহতের স্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.