Advertisement
Advertisement

Breaking News

নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, ওড়িশায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়

মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

Heavy rain in South Bengal, Cyclonic storm to hit Odisha: IMD
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:September 21, 2018 8:44 am
  • Updated:September 21, 2018 8:51 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ। আর তার জেরেই কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দপ্তর। দিল্লির মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের পশ্চিমাংশে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় আর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের ততটা প্রভাব না পড়লেও বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

মৌসম ভবন সূত্রে খবর, দেশের পূর্ব উপকূলে শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হবে। অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূলের কালিঙ্গাপটনম থেকে ওড়িশার দক্ষিণ উপকূলের পুরী পর্যন্ত এলাকায় ঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

Advertisement

এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনও প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের উপর না পড়লেও এর পরোক্ষ প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। যা নিয়ে সতর্ক রয়েছে রাজ্য।

মহরমে বন্ধ হোক অস্ত্র প্রদর্শন, আবেদন সাংসদ ইদ্রিশ আলির ]

বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, সেচ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে সতর্ক করা হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “যাঁরা মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরতে বলা হয়েছে।” এদিন নবান্নে মন্ত্রী ও সচিবদের গোষ্ঠীর বৈঠকে আবহাওয়ার পরিস্থিতি ও সামুদ্রিক ঝড় নিয়ে আলোচনা হয়।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূল হলেও শুক্রবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির (৭-১১ সেমি) পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জেলাগুলিতে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে ঢোকার সময় ওড়িশা উপকূলে প্রায় ৬৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে শুক্রবার ভোর থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা। এইসব জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হুগলি বন্দর ও সাগরে তিন নম্বর সিগন্যাল দেখাতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে মৎস্যজীবীদের শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সমুদ্রে না যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত দিঘা ও অন্য উপকূলগুলিতে পর্যটকদের সমুদ্রে না নামতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চেতলা থেকে নিউ আলিপুর পর্যন্ত বিকল্প দুটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু ]

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে শনিবার পর্যন্ত কখনও ভারী, কখনও অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে স্থলভাগে ঢুকে পড়েও নিম্নচাপের শক্তি অক্ষত থাকলে রবিবার পর্যন্তও বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বইতে পারে ঝোড়ো বা দমকা হাওয়া। এই ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে উপকূল এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাসও দিয়ে রেখেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement