সুব্রত বিশ্বাস: টানা বর্ষণে লাইনে উঠে এসেছে জল। দিনভর বিঘ্নিত ট্রেন চলাচল। লাইন ডুবে যাওয়ায় প্রিন্সেপ ঘাট থেকে বাগবাজার পর্যন্ত চক্ররেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেলা সাড়ে দশটার পরই। শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে লাইনে জল উঠে পড়ে রাতে। ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে অনিয়মিত হয়ে পড়লেও ৪-এ, ৪, ৩ লাইনে পাম্প চালু করে জল সরানো হয়।
শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে বলা হয়েছে, বৃষ্টির জেরে সাময়িক বিড়ম্বনা হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তবে হাওড়া বর্ধমান মেইন ও কর্ড শাখায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। এমনিতেই ব্যান্ডেল-বর্ধমানের মাঝে লাইনে কাজের জন্য ট্রেন বাতিল করা হয়েছে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত। তার উপর কারশেডে জল জমে যাওয়ায় স্বল্প দূরত্বের ছ’টি ট্রেন বাতিল করা হয়। বেলুড়মঠ লোকাল, শ্রীরামপুর লোকাল, শেওড়াফুলি লোকাল বাতিল করেছে রেল। দুপুর দেড়টা নাগাদ জনাই-কামারকুণ্ডুর মাঝে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এজন্য ঘণ্টাখানেক ধরে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিতও হয়। টিকিয়াপাড়া কারশেডে জল জমে যাওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই জায়গায় ছ’টি পাম্প বসিয়ে জল বের করে দেওয়ার পাশাপাশি কি-ম্যান ও পেট্রোলিং ব্যবস্থায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়। লাইনের সঙ্গে সংযোগকারী নালাগুলি সাফাই করা হয়েছে।
প্রবল বর্ষণের সঙ্গে বজ্রপাতে এমনিতেই যাত্রীদের নাজেহাল দশা। তার উপর রেলের খেয়ালে যাত্রীদের হয়রানি বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। বিকেলের দিকে মেইন শাখা ও কর্ডের ট্রেনগুলিকে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দেওয়ায় চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। হাওড়ার স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ১৪ নম্বরে এই ট্রেনগুলি দেওয়া অনুচিত। তিনি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে বলা হয়, এত বৃষ্টি হলেও আগাম ব্যবস্থা থাকায় ট্রেন চলাচলে অসুবিধাগুলি কাটানো সম্ভব হয়েছে। যদিও যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন হাওড়া, শিয়ালদহ ছাড়ার সময় ও ঢোকার ক্ষেত্রে বিলম্ব করেছে। কাকভেজা যাত্রীদের এজন্য অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তবে প্রতিবারের তুলনায় সমস্যা এবার কম হয়েছে বলেই দাবি রেল কর্তৃপক্ষের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.