অভিরূপ দাস: প্রায় আড়াই বছর আগের ঘটনা। মুকুন্দপুর আমরি (AMRI) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল দু’বছর সাত মাসের ঐত্রী দে-র। ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারির ওই ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন মৃত একরত্তির মা শম্পা দে। স্বাস্থ্য কমিশনে (Health Commission) অভিযোগ জানিয়েছিল শিশুটির পরিবার। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে রায় দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন। জানাল, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই প্রাণ গিয়েছিল খুদের।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সব পক্ষকে ভিডিও কনফারেন্সে জানানো হয়েছে। ঘটনায় মুকুন্দপুর আমরিকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যদিও শিশুটির পরিবারের দাবি, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি জ্বর নিয়ে মুকুন্দপুর আমরিতে ভরতি হয়েছিল ছোট্ট শিশুটি। তার মৃত্যুর পর পরিবার অভিযোগ করেছিল, ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয় খুদের। মৃত শিশুর মা শম্পা দে জানিয়েছিলেন, “আমার মেয়ে যখন শ্বাস নিতে পারছিল না, সময়মতো অক্সিজেন মাস্ক আনতে পারেনি হাসপাতাল।” ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল হাসপাতাল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় হাসপাতালের ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায় মৃতের পরিবারকে শাসাচ্ছেন। সে ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই তড়িঘড়ি সরিয়ে দেওয়া হয় ইউনিট হেডকে।
এরপর স্বাস্থ্য কমিশনেও অভিযোগ জানায় শিশুটির পরিবার। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার রায় পেল দে পরিবার। এদিন শম্পা দে বলেন, “সামান্য সর্দি-কাশি নিয়ে আমার মেয়ে ভরতি হয়েছিল। হাসপাতালই ভুল ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলেছে। আজকের রায়ে ঐত্রীর আত্মা শান্তি পাবে।” মেয়ে আর ফিরবে না, তবে এ দিনের রায় দে পরিবারের ক্ষতে কিছুটা মলমের কাজ করবে ঠিকই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.