Advertisement
Advertisement
Hair Cut

ক্লাসে বসে শিস দিচ্ছে কারা? স্রেফ সন্দেহের বশে ছাত্রদের চুল কেটে দিলেন প্রধান শিক্ষিকা!

প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিভাবকরা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।

Headmistress accused of cutting hair of the students as 'punishment' in North 24 Parganas | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 29, 2022 7:46 pm
  • Updated:July 29, 2022 7:46 pm  

অর্ণব দাস: ক্লাসে বসে শিস দিচ্ছিল জনা কয়েক ছাত্র। সেসময় ভৌতবিজ্ঞান পড়াচ্ছিলেন এক শিক্ষিকা। তিনি শিসের শব্দ শুনে সন্দেহের বশে ছাত্রদের নিয়ে যান প্রধান শিক্ষিকার কাছে। তিনিও বারবার জানতে চান, ক্লাস পড়ানোর সময় কারা এমনটা করছিল? কোনও উত্তর না পেয়ে তিনিই সন্দেহের বশে কাঁচি নিয়ে কয়েকজনের চুল কেটে দিলেন। এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) আড়িয়াদহ কালাচাঁদ স্কুলে। প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিভাবকরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

Advertisement

জানা গিয়েছে, এলাকার অন্যতম পুরনো, নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আড়িয়াদহের কালাচাঁদ হাই স্কুলে ঘটে গিয়েছে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনা। যার জেরে উদ্বেগ বেড়েছে অভিভাবকদের। স্কুলে সন্তানদের সুরক্ষা নিয়ে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কী এমন ঘটনা যাতে সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ছাত্রদের মা-বাবারা? জানা যাচ্ছে, স্কুলের নবম শ্রেণিতে ভৌতবিজ্ঞানের (Physical Science) ক্লাস চলছিল। আচমকাই শিক্ষিকার কানে আসে, কেউ বা কারা ক্লাসে বসে শিস দিচ্ছে। তিনি জানতে চান, কোন ছাত্র এই শিসের আওয়াজ করছে? কেউ কোনও জবাব দেয়নি।

[আরও পড়ুন: ‘স্যর মানবিক, প্রত্যেককে চাকরির আশ্বাস’, অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন SSC আন্দোলনকারী]

এরপর সন্দেহবশত ৭ জন ছাত্রকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদারের ঘরে নিয়ে যান ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষিকাও বারবার জানতে চান কোন কোন ছাত্র ক্লাস শিস দিয়েছে। তিনিও জবাব পাননি কোনও। এরপর প্রধান শিক্ষিকা সন্দেহের বশে হাত কাঁচি নিয়ে ওই ৭ জন ছাত্রর চুল কেটে দেন। এমনই অভিযোগ আলমবাজার এলাকার ছাত্রদের ও তার পরিবারের। যে সব ছাত্রদের মাথার চুল কেটে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা, তারা যথেষ্ট আতঙ্কিত ও ভীত।

[আরও পড়ুন: আইনি নিষেধ নেই, প্রাথমিক, মাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ কেন? রিপোর্ট পেয়ে প্রশ্ন বিচারপতির]

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিভাবকদের একটাই বক্তব্য, স্কুলে শাস্তি অনেকরকম হতে পারে, কিন্তু এই ধরনের শাস্তি তাঁরা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। প্রধান শিক্ষিকার শাস্তির দাবি তুলে দক্ষিণেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আতঙ্কিত ছাত্রদের পরিবার। বলাই বাহুল্য, এই ধরনের ঘটনা আরও একবার শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষকদের অমানবিকতার নমুনা হয়ে রইল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement