শুভঙ্কর বসু: পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে রায়গঞ্জে প্রিসাইডিং অফিসারের মৃত্যুর ঘটনায় কেস ডায়েরি ও সিডি চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ মার্চ।
[ সচিত্র ভোটার স্লিপে আর ভোট নয়, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন]
এ রাজ্যে একদফায় পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল গত বছরের মে মাসে। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বানবোল প্রাথমিক স্কুলের বুথের প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন রাজকুমার রায়। পঞ্চায়েতে ভোটের দিনে সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার দিন পরের দিন রায়গঞ্জে স্টেশনে কাছে রেললাইন থেকে ওই প্রিসাইডিং অফিসারের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার শোরগোল পড়েছিল রাজ্যে। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল যে, ভোটগ্রহণ চলাকালীন বারবারই রাজকুমার রায়ের কাছে হুমকি ফোন আসছিল। ফোনে তাঁকে বুথ থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হচ্ছিল। কিন্তু নিজের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন ওই স্কুল শিক্ষক। ভোটপর্ব মেটার পর যখন ব্যালট ও নথি জমা দিতে যাচ্ছিলেন, তখনই রাজকুমার রায়কে অপহরণ করে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা।
ছেলের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছেন রাকুমার রায়ের মা অন্নদাদেবী। সেই মামলার শুনানিতেই শুক্রবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে জানতে চান, ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোটের সন্ধ্যায় রাজকুমার রায় নিখোঁজ হওয়া থেকে পরের তাঁর দেহ উদ্ধার পর্যন্ত পুলিশের কী ভূমিকা ছিল? রাজ্যের আইনজীবীর উত্তরে সন্তুষ্ট হননি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি। এরপরই ঘটনার কেস ডায়েরি ও সিডি আদালতে জমার দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। ৭ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিনই জমা দিতে হবে কেস ডায়েরি ও সিডি। গত বছরের অগাস্টেই মৃত প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা দিয়েছিল সিআইডি। ময়নাতদন্তে রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ট্রেনে কাটা পড়েই মারা গিয়েছেন ওই প্রিসাইডিং অফিসার। কিন্তু সেই রিপোর্টের সন্তুষ্ট হননি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী।
[ হাওড়া স্টেশন নোংরা করলেই দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.