Advertisement
Advertisement
জেপি নাড্ডা

‘নেতৃত্ব দিতে গেলে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে’, রাজ্য নেতাদের নির্দেশ জেপি নাড্ডার

রাজ্য নেতাদের ১০ থেকে ১৫টি করে বুথ দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন কার্যকরী সভাপতি।

Have to work with all, says BJP's working president JP Nadda
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:September 28, 2019 6:05 pm
  • Updated:September 28, 2019 6:15 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নেতৃত্ব দিতে গেলে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে বিজেপির রাজ্য নেতাদের এই নির্দেশই দিলেন জেপি নাড্ডা। মৃত দলীয় কর্মীদের আত্মার শান্তিকামনায় তর্পণ করতে কলকাতায় এসেছেন তিনি। শনিবার বাগবাজার ঘাটে তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে মন্ত্রপাঠের পর গঙ্গায় প্রতীকী অস্থিকলসও ভাসান। কিন্তু, তার আগে শুক্রবার রাতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন।

[আরও পড়ুন: ‘বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি’, শহিদ তর্পণের মঞ্চ থেকে মমতাকে তোপ নাড্ডার]

রাজারহাটের হোটেলে হওয়া ওই বৈঠকে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ এবং অরবিন্দ মেনন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়রা। বিজেপি সূত্রে খবর, পুজোর পর থেকেই রাজ্য নেতাদের কোমর বেঁধে পথে নামতে বলেছেন কার্যকরী সভাপতি। আর এর জন্য নতুন-পুরনো সবাইকে নিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন জেপি নাড্ডা। বলেছেন, নেতৃত্ব দিতে গেলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। না হলে বাংলা দখল করা সম্ভব হবে না। আদি-নব্যর লড়াইয়ের ফলে দল যেন কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এর জন্য নেতাদের মন বড় করারও পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, ‘লক্ষ্য বড় করতে হবে। বিজেপি বাংলার ক্ষমতায় আসতে চলেছে। আর তার জন্য যা করণীয় তা করতে হবে।’

Advertisement

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর জুলাই মাসের ৬ তারিখ থেকে আগস্টের ২০ তারিখ পর্যন্ত সদস্য অভিযান চালায় বিজেপি। তাতে একনম্বর স্থান দখল করেছে বাংলা। গতকালের বৈঠকে সেই কথা রাজ্য নেতৃত্বকে মনে করিয়ে সঠিক পথে চলার বার্তা দেন কার্যকরী সভাপতি। রাজ্য নেতাদের প্রত্যেককে ১০ থেকে ১৫টি করে বুথ দেখার দায়িত্ব দেন। ওই বুথগুলিকে আদর্শ বুথ তৈরি করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পরেরবার রাজ্য সফরে এসে কোনও নেতা কী করেছেন তার রিপোর্ট নেবেন বলেও জানিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: মহালয়ায় চণ্ডীপাঠ-তর্পণ, পিতৃপুরুষের স্মৃতিতে বুঁদ বাঙালি]

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে বিজেপিতে যোগদানের সংখ্যা বেড়েছে। এর ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে গোষ্ঠীকোন্দলও। আদি না নব্য, কাদের হিসেবে দল চলবে তা নিয়ে গন্ডগোলও কম হয়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বারবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথাও বলেছেন দিল্লির নেতারা। কিছুদিন আগে রাজ্যের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে এই বিষয়ে একটি বৈঠকও করেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। নতুন-পুরনোর সমস্যা মিটিয়ে সবাইকে দলের জন্য কাজ করতে বলেন। শুক্রবার ফের সেই বার্তাই দিলেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের কার্যকরী সভাপতি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement