সুব্রত বিশ্বাস: হরিদেবপুরের যুবকের মৃত্যুতে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা অয়নের প্রেমিকা। একাদশীর দিন হরিদেবপুরের বাড়িতে এসে অয়নের মাকে একথা জানিয়েছিল তাঁর প্রেমিকা। শনিবার এমনই দাবি করলেন অয়নের দিদা বৃহস্পতি নায়ার।
দশমীর রাত থেকে নিখোঁজ ছিল হরিদেবপুরের যুবক অয়ন মণ্ডল। বন্ধ ছিল তাঁর ফোন। ‘উদ্বিগ্ন’ প্রেমিকা অয়নের বাড়িতে ফোন করে। জানতে চায়, কোথায় আছে সে? খোঁজ না পেয়ে সটান অয়নের বাড়িতে হাজির হয় প্রেমিকা। অয়নের পরিবার সূত্রে খবর, ঘন্টা দুয়েক সেখানে ছিল মেয়েটি। বারবার অয়নের খোঁজ করছিল। এমনকী, পুলিশের কাছে খোঁজ নিতেও পরামর্শ দিয়েছিল সে। তখন অয়নের মা জানতে চান, “পুলিশের কাছে খবর নেব কেন? কোনও গণ্ডগোল হয়েছে? ছেলে কি মদ খেয়েছিল?” জবাবে মেয়েটি গণ্ডগোলের কথা স্বীকার করে নেয়। এর প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর অয়নের মা মঞ্জুর হাত ধরে সে বলে, “ওকে না পেলে আমার কী হবে? আমি দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা।” এদিন সেকথা জানালেন অয়নের দিদা।
সেই সময় মঞ্জুদেবী আশ্বাস দিয়েছিলেন, ছেলে ফিরে এলে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু এখন সন্তানহারা মায়ের মনে হচ্ছে, সবটাই সাজানো ছিল। বলছেন, ছেলের খবর না পেয়ে আমরা কী করছি, সেসব দেখতেই এসেছিল ও। অষ্টমীর দিনও মেয়েটা আমাদের বাড়ি এসেছিল। ও যদি অন্তঃসত্ত্বা হত, তাহলে কেন সেদিন বলল না?” একই কথা শোনা গেল অয়নের কাকা কালীপদ মণ্ডলের গলাতেও। তিনিও অয়নের প্রেমিকার দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, অয়নের গলায় দুটো সোনার চেন, বেশ কয়েকটা আংটি আর সোনার ব্রেসলেট ছিল। খুনের আগে সেই সব নিয়ে নিয়েছে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, অয়নের প্রেমিকা খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দাবি, দশমীর রাতে অয়ন মণ্ডল তাঁর বাড়িতে আসে। ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাবা-মা দেখে ফেলে। ভয়ে ছুটে ছাদে চলে যায় অয়ন। সেখান থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর আর অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তাঁর। হরিদেবপুর থানার বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে সরব অয়নের পরিবারের লোকজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.