অর্ণব আইচ: করোনা (Corona Virus) পরিস্থিতিতে ঠিক মতো মিলছিল না বেতন। এদিকে ধার হয়ে গিয়েছিল বহুজনের কাছে। সেই কারণেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিশনের এক ল্যাব কর্মী। দেহের পাশ থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট। ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতার পর্ণশ্রী এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দেবব্রত পাল। বয়স ৪৬ বছর। পর্ণশ্রীর (Parnasree) জয়রামপুরের বাসিন্দা তিনি। ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ড হিসেবে কাজ করতেন মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে। করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে হত দেবব্রতবাবুকে। তাই নিয়মিত ভোর বেলা উঠে চলে যেতেন স্টাডি রুমে। বুধবারও তার অন্যথা হয়নি। বেলার দিকে মা প্রতিমা পাল দেবব্রতবাবুকে চা দিতে যান। ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বাইরে থেকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তিনি কোনও সাড়া পাননি। এরপরই পুত্রবধূ ও প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান ওই বৃদ্ধা। এরপর তাঁরা এসে দরজায় ধাক্কা দিতেই দেখা যায়, সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন দেবব্রত। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দেবব্রতবাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দেহের পাশ থেকে যে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে, তাতে লেখা ছিল, এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। দেবব্রতবাবু ওই চিঠিতে জানিয়েছেন, একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন তিনি। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে ঠিক মতো বেতনও পাচ্ছিলেন না। সেই কারণেই অবসাদে ভুগছিলেন। যার জেরে এই চরম সিদ্ধান্ত। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.