সংবাদ প্রতিদিন জিডিটাল ডেস্ক: অনেক টালবাহানার পর সোমবার বিকেলে নবান্নে আলোচনায় বসেছিল দু’পক্ষ। এরপরই মিটে যায় সমস্যা। নবান্ন থেকে এনআরএস-এ ফিরে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কথা জানান জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু, কেউ কি জানেন? এই কয়েকদিন কেমন ছিল আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের পরিবার। কেমন ছিলেন তাঁর বাবা-মা। বাড়ির অন্য সদস্যরা।
আক্রান্ত চিকিৎসকের এক আত্মীয় জানালেন, পরিবহ আক্রান্ত হওয়ার পরে একঝটকায় জীবন যেন বদলে গিয়েছিল তাঁর পরিবারের। বয়ে যাচ্ছিল তুমুল ঝড়! রাজ্যজুড়ে মানুষ যখন ডাক্তার না রোগী কার স্বার্থে কথা বলবেন তা নিয়ে টানাপোড়েনে ভুগছেন। তখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন পরিবহের বাবা ও মা। তাঁদের মানসিক চাপ কমাতে কেবল লাইনের কানেকশন কাটা হয়েছিল। বন্ধ হয়েছিল খবরের কাগজ কেনা।
এই কয়েকদিনের টানাপোড়েন প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থার সামনে মুখ খুলেছেন পরিবহ-এর দাদা সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়। পেশায় ডাক্তার ওই যুবক জানান,” পরিবহ-এর বাবার বয়সজনিত শারীরিক সমস্যা আছে। পাশাপাশি ব্লাড সুগারের রোগী তিনি। আর মা ভুগছেন পারকিনসন্স-এ। গত কয়েকদিনে তাঁদের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। পরিবহ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে রাজ্যজুড়ে যা চলেছে তাতে মানসিক চাপ বেড়েছে বহুগুণ। বাধ্য হয়ে কেবল লাইনের তার কেটে দিয়েছিলাম। বন্ধ করা হয়েছিল খবরের কাগজও। কিন্তু, প্রতিবেশী ও রিপোর্টাররা যেভাবে তাঁদের পিছনে পড়েছিলেন তাতে মানসিক চাপ বেড়েছে। পাশাপাশি পরিবহকে নিয়ে প্রচুর গুজবও ছড়ানো হয়েছে এই কয়েকদিনে। কেউ একজন রটিয়েছিল, পরিবহ মারা গিয়েছে।”
পরিবহের ঘটনার পর ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য লড়াইকে সমর্থন করেছেন তিনি। তেমনি চাইছেন রোগীদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই পেশায় আসার সময় রোগীদের সেবা করার মানসিকতা নিয়েই এসেছি। এটাই আমার কর্তব্য। তবে কাজ করার জন্য নিরাপত্তা চাই আমরা। মানুষের সঙ্গে লড়াই করার জন্য ডাক্তারি পড়িনি। তাঁদের বাঁচানোর জন্যই নিজেদের নিরাপদে রাখতে চাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.