সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা আরও উসকে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। এদিন তাঁদের যে রাজনৈতিক আলোচনাই হয়েছে তা সাফ জানিয়ে দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের বান্ধবী। আনুষ্ঠানিকভাবে ফের তৃণমূলে কবে ফিরছেন দু’জনে? তা ‘সময় বলবে’ বলেই জানান তিনি।
নবান্ন থেকে বেরনোর পর শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) বলেন, “আমাদের মধ্যে আবেগের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। ছোটবেলা থেকে এদিন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রায় সবসময় মমতাদিই নিয়েছেন। তাঁর চিন্তাভাবনা, কথা, ইচ্ছা বাস্তবায়িত করাই আমার কর্তব্য বলে মনে করেছি। আমার রাজনৈতিক জীবন এবং অন্য কিছু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেন্দ্রিক। মমতাদির কাছে আসব। চা খাব, গল্প করব, মত বিনিময় হবে। নির্দেশ, আদেশ থাকবে, সেটাই বাঞ্ছনীয়।” তবে কি ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরছেন শোভন? সে প্রশ্নের জবাবে জল্পনা বাড়ালেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। তিনি বলেন, “সক্রিয়তা এবং নিষ্ক্রিয়তা ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করে।”
তবে এদিন নবান্নে যে শোভন, বৈশাখীর (Baishakhi Banerjee) সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কথাবার্তা হয়েছে, তা সাফ জানিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের বান্ধবী। তিনি বলেন, “শোভন ও মমতা দু’জনই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তাই রাজনৈতিক আলোচনাই হয়েছে। আমি ভাই, দিদির মিষ্টিমধুর আলোচনা হয়েছে। সেগুলো উপভোগ করলাম। আগামী দিনে নিশ্চয়ই দেখা যাবে। শোভনের রাজনীতিতে দেওয়ার আরও অনেক কিছু আছে। দ্রুত কাজে ফিরুক আমি চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। মাঝে অভিমানের প্রাচীর তৈরি হয়েছিল। তবে আমি খুশি অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে।” তবে কি আগামী ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেই তৃণমূলে ফিরেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? সে বিষয়ে যদিও নির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে চাননি বৈশাখী।
গত ২০১৮ সালে শোভন ও রত্নার ব্যক্তিগত বিবাদ প্রকাশ্যে আসে। তা নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। বর্তমানে সেই রত্নাই বেহালা পূর্বের বিধায়ক। তৃণমূলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফেরার জল্পনা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ রত্না। তৃণমূল বিধায়ককে গুরুত্ব দিতে নারাজ শোভন, বৈশাখীও। এদিকে, শোভন, বৈশাখীর নবান্নে বৈঠক নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া রাজনীতিতে যে আর কেউ থাকতে পারেন না, তা শোভন-বৈশাখী বুঝতে পেরেছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.