দীপঙ্কর মণ্ডল: দু’মাস পরে উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা (H.S. Practical Exam)। কিন্তু স্কুল কবে খুলবে কেউ জানে না। করোনা (Corona Virus) সতর্কতায় স্কুল বন্ধ থাকায় উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের একদিনও ক্লাস হয়নি। উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা হবে ১০ থেকে ৩১ মার্চ। ২০ এপ্রিলের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাপ্ত নম্বর সংসদে জমা পড়বে। একদিনও ক্লাস না করে কী করে তারা পরীক্ষা দেবে ভেবে আকুল ছাত্র-ছাত্রীরা।
কবে থেকে স্কুল খুলবে সে বিষয়ে কোনও দিশা দেখাতে পারেনি স্কুল শিক্ষা দপ্তর। আধিকারিকদের বক্তব্য, করোনা প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হলে স্কুল খোলা হবে। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে পর্যায়ক্রমে ক্লাস চালু হতে পারে। প্রায় ১০ মাস টানা স্কুল বন্ধ থাকায় শ্রেণিকক্ষগুলিতে ধুলো জমেছে। শ্রেণিকক্ষ ও শৌচাগার পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। আংশিকভাবে ক্লাস চালু হলে কোন কোন নিয়ম মানতে হবে তার গাইডলাইনও তৈরি। শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এবিষয়ে কথা চলছে। চলতি মাসেই স্কুল খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
১ থেকে ১০ জুন হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ১৫ জুন শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক। চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা হবে ১৬ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত। সিবিএসই দশম দ্বাদশের পরীক্ষা চলবে ৪ মে থেকে ১০ জুন। দ্বাদশ এর প্র্যাকটিক্যাল শুরু হবে ১ মার্চ থেকে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সূচি প্রকাশ হলেও ছাত্র-ছাত্রীরা জানে না কবে থেকে ক্লাস শুরু হবে। অভিভাবকরাও অথৈ জলে। আইসিএসই বোর্ড চলতি মাসেই ক্লাস শুরু করতে চেয়েছিল। অনুমতি মেলেনি। রাজ্যের প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন দাবি করেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কথা ভেবে পর্যায়ক্রমে এখনই ক্লাস চালু করা হোক। এই দাবি লিখিতভাবে সরকারকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি। যদিও স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কেউ এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।
করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবেই মূলত বোর্ড পরীক্ষাগুলি পিছিয়েছে। পাশাপাশি চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা ভোট। নির্বাচন পর্ব মিটলে শুরু হবে পরীক্ষা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তৎপরতায় মনে করা হচ্ছে তার আগেই করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ অনেকটা এগোবে। পরীক্ষার্থীদের সুবিধা হবে ভেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসে ব্যাপক কাঁটছাঁট হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সিলেবাস কমানো হয়েছে। আইসিএসই ও সিবিএসই-র সিলেবাসও কমেছে। অভিভাবকদের বক্তব্য, করোনার কারণে টানা দশ মাস স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ। মাধ্যমিক পড়ুয়াদের ক্লাস হয়েছে মাত্র আড়াই মাস। উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রীদের একদিনও ক্লাস হয়নি। এই অবস্থায় পরীক্ষার খাতায় কী লিখবে পড়ুয়ারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.