অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: রবীন্দ্রভারতী কাণ্ডে শনিবারই খারিজ হয়েছে উপাচার্যের ইস্তফাপত্র। তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এবার এই বিতর্কে রবিবার নতুন করে ঘৃতাহুতি করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন হাওড়ার শরৎ সদনে একটি অনুষ্ঠানে এসে আচার্য হিসাবে তাঁকে টপকে কেন শিক্ষামন্ত্রীকে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন উপাচার্য তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। ইস্তফা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারেন না শিক্ষামন্ত্রী। এটা তাঁর এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। যার জেরে ফের রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বসন্তোৎসবকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার যে বেনজির ঘটনা ঘটেছিল রবীন্দ্রভারতী প্রাঙ্গণে তার দায় নিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায়চৌধুরি। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) কাছে ইস্তফাপত্রও জমা দেন তিনি। কিন্তু তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি শিক্ষামন্ত্রী। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, উপাচার্যের ইস্তফাপত্র তিনি গ্রহণ করবেন না। ই-মেল মারফত ইস্তফাপত্র ফিরিয়েও দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রভারতীতে যা ঘটেছে সেই ঘটনার দায় কোনওভাবেই উপাচার্যের একার নয়। গোটা বিষয়টি সামাজিক অবক্ষয় বলেই ব্যাখ্যা করেন তিনি। উপাচার্যের কাছে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। দিনভর চলে বিক্ষোভ।
এবার কেন শিক্ষামন্ত্রীকে ইস্তফাপত্র পাঠানো হল তা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগ, তিনি আচার্য অথচ তাঁকে ইস্তফার কথা জানানোর প্রয়োজন মনে করা হল না। তাঁকে টপকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠানোর ঘটনায় তিনি ব্যথিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন ধনকড়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.