সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি অফিসে কাজের এবং টিফিন টাইমের সময়সীমা এবার বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সাফ বলা হয়েছে, টিফিন টাইমে অন্য কোনও কাজ করা যাবে না। সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তৃণমূল সরকারকে ‘স্বেচ্ছাচারী’ বলে তোপ দাগল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাঁদের কথায়, শিক্ষক টিফিন টাইমে কী করবেন, তা নিজস্ব সিদ্ধান্ত। নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে।
শনিবার নবান্নের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, সরকারি অফিসে দুপুর ১টা ৩০ থেকে ২টোর সময়ে শুধু টিফিন টাইম থাকবে। কোনও মিটিং মিছিল করা যাবে না। যদি অর্ধেক অফিস করে কেউ বেরিয়ে যান সেক্ষেত্রে তাঁকে অনুপস্থিত বলে গণ্য করা হবে। যথাসময়ে হাজিরা দেওয়া ও কাজের সময় কোনওরকম অতিরিক্ত ঝামেলা এড়াতে অফিসের প্রধানের থেকে অনুমতি ছাড়া অফিসের বাইরে কেউ বার হতে পারবেন না। বেলা ১.৩০ থেকে ২টো কেবলমাত্র টিফিনের সময় আর অন্য কোনও কাজের সময় নয়। এই নিয়ম পালন করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে কড়া নজর রাখা হবে, পাশাপাশি নিয়মের লঙ্ঘন হলে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে অফিসে অনুপস্থিত বলে ধরা হবে।
সেই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে শোরগোল সরকারীকর্মীদের মধ্যে। কারণ, টিফিনের সময়ের কর্মীরা কী করবেন তা একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সেখানে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলেই বক্তব্য তাঁদের। এ বিষয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে সৌগত লাহিড়ি বলেন, “এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য সরকার স্বেচ্ছাচারী মনোভাব প্রকাশ্যে আনছেন। এটা চলতে পারে না। ” আন্দোলনকারী আরেক নেতা নারায়ণ বসুর কথায়, “শিক্ষক টিফিনের সময় খাবেন, না পাশের কারও সঙ্গে কথা বলবেন, সেটা তার বিষয়, এখানে কেউ কোনও মন্তব্য বা নির্দেশিকা জারি করতে পারে না। এরকম স্বেচ্ছাচারিতা মানা হবে না।” অবিলম্বে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার না হলে আরও বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.