ছবি: প্রতীকী।
শুভঙ্কর বসু: হাওড়া ও বালি পুরসভার পৃথকীকরণ বিলে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ভুল স্বীকার করে কলকাতা হাই কোর্টে জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। কেন হাই কোর্টে ‘ভুল’ তথ্য জমা দিলেন তিনি, কারণ উল্লেখ করে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ৬ জানুয়ারি ফের পুরভোট মামলার শুনানি।
গত ২৪ ডিসেম্বর কলকাতা হাই কোর্টে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, হাওড়া ও বালি পুরসভার পৃথকীকরণ নিয়ে জট কেটেছে। কারণ, নানা টালবাহানার পর আটকে থাকা বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। আটকে থাকা পুরবিলে সই করায় স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের পথ মসৃণ বলেও দাবি করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তার পরেরদিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর সকালে টুইট করে অ্যাডভোকেট জেনারেলের পুরোপুরি বিপরীত অবস্থান নেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইটে সাফ জানিয়ে দেন, এখনও পর্যন্ত হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল বিবেচনাধীন। তিনি ওই বিলে সই করেননি। টুইটের পর দার্জিলিং সফরে যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েও রাজ্যপাল দাবি করেন, প্রয়োজনীয় তথ্য চাইলেও পাওয়া যায়নি। সে কারণেই বিলে এখনও সই করতে পারছেন না।
টানাপোড়েনের মাঝে গত সোমবার রাজ্যের বকেয়া চারটি পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভোট বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়। কেন হাওড়ায় পুরভোট হচ্ছে না, তা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীর প্রশ্ন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল পাঁচ পুরনিগমের ভোট একদিনে হবে। তবে কেন বাদ পড়ল হাওড়া? অতি দ্রুত যাতে মামলার শুনানি হয়, সেই আরজিও জানিয়েছিলেন মামলাকারী।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে নয়া মোড়। আদালতে নিজের ‘ভুল’ স্বীকার করে নেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি জানান, “রাজ্যপাল এখনও হাওড়ার বিলে সই করেননি। হাই কোর্টে সওয়ালে আমার ভুল ছিল। তাই আপাতত হাওড়ায় পুরভোট করা সম্ভব নয়।” কেন ভুল তথ্য আদালতে দিয়েছিলেন তিনি, হলফনামা জমা দিয়ে তা জানানোর নির্দেশ। আগামী ৬ ডিসেম্বর ফের মামলার শুনানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.