সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি ভাটপাড়ায় যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তা দেখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকড়৷ রাজভবনে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে তলব করলেন তিনি৷ মঙ্গলবার সকালে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ডিজি৷ দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়৷
[ আরও পড়ুন: গলফ গ্রিনে খুন হওয়া যুবক অসমের বাসিন্দা, ২ দিন পর পরিচয় হাতে এল পুলিশের ]
রাজভবন সূত্রের খবর, বৈঠকে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জগদ্দল, কাঁকিনাড়া, ভাটপাড়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ডিজির সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকড়৷ কেন ওই এলাকায় এমন অশান্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং কীভাবে এর মোকাবিলা করা যায়, সেই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন তিনি৷ জানা গিয়েছে, বৈঠকে রাজ্যপালকে বারাকপুরের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন ডিজি৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তাও জানান তিনি৷ শ্যামনগরের সংঘর্ষে গুরুতর জখম সাংসদ অর্জুন সিংকে দেখতে সোমবারই কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকড়৷ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল বলেন, ‘‘দিল্লি সফর কাটছাঁট করে এসেছি। খুবই ভয়ংকর একটা ঘটনা ঘটেছে। উনি (অর্জুন সিং) মাথায় চোট পেয়েছেন। হাসপাতালটি ভালো। আমার বিশ্বাস উনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমি রাজ্যে শান্তি চাই। হিংসা নয়। উন্নয়ন চাই। আইন-শৃঙ্খলায় উপর সবার বিশ্বাস রাখা উচিত।’’
[ আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্ত্রী ফের বিয়ে না করা পর্যন্ত দিতে হবে খোরপোশ, হাই কোর্টের নির্দেশে চাপে স্বামী ]
অন্যদিকে, শ্যামনগর থেকে শুরু করে ভাটপাড়া, জগদ্দল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় রবিবার যে উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে, তারজন্য বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ও তাঁর ছেলে বিধায়ক পবন সিংকেই দায়ি করেছে প্রশাসন৷ তাঁদের নেতৃত্বেই রবিবারের অশান্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিং৷ তিনি সাফ জানান, বারাকপুর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় কোনও ধরনের অশান্তি বরদাস্ত করবে না পুলিশ৷ যারা আগামিদিনে ওই এলাকাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করবে অথবা যারা রবিবার উত্তেজনা তৈরি করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন৷ যথাযথ শাস্তি পাবে দোষীরা৷
উল্লেখ্য, পার্টি অফিস দখল ও পুনর্দখলকে কেন্দ্র করে রবিবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শ্যামনগর৷ সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ এরপর সেই উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়ে পড়ে ভাটপাড়া, জগদ্দল-সহ বারাকপুর লোকসভার বিস্তৃর্ণ এলাকায়৷ পুলিশের সঙ্গে জনতার খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে ক্ষুব্ধ জনতা৷ পরে লাঠিচার্জও করে পুলিশ৷ লাঠির ঘায়ে মাথা ফাটে অর্জুন সিংয়ের৷ যে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে বিজেপি৷ ঘটনার বিবরণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির৷ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে ১২ ঘণ্টা বনধ পালন করছে পদ্মশিবির৷ ইতিমধ্যে বারাকপুর থেকে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ এলাকার পরিস্থিতি থমথমে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.