ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ, অভিমান উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শুক্রবার সন্ধেবেলা রাজভবনের দুর্গাপুজো কমিটি আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে গিয়ে অভিমানের সুরে তিনি বললেন, রাজ্য সরকারের কোনও অনুষ্ঠানেই তিনি আমন্ত্রণ পান না। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা সত্ত্বেও যে সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি, তা নিয়েও আক্ষেপ করলেন। এও জানাতে দ্বিধা করলেন না যে আগামী বছর নিজেই চলে যাবেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি, ভাইফোঁটা নিতে।
রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত নতুন কিছু নয়। এরাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে নবান্নের ছোটখাটো মতান্তর তৈরি হয়েছে। তা মিটিয়ে নিতে তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাইফোঁটার দিন যেতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠির উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কালীপুজোর দিন সস্ত্রীক তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কালীপুজোর সন্ধেবেলা স্ত্রীকে নিয়ে তিনি পৌঁছেও যান মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। পুজোয় অংশ নিয়ে প্রসাদ গ্রহণ করেন। সব দেখে খুশিই হন রাজ্যপাল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর সাদামাটা জীবনযাপন দেখে বিস্মিতও হন। আপাতভাবে বেশ একটা সৌজন্যের আবহ তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু সেই রেশ বেশিদিন রইল না। দীপাবলি, ভাইফোঁটার ঠিক দিন তিনেক পরই রাজভবনের দুর্গাপুজো কমিটি আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকায় তিনি মোটেই তেমন সন্তুষ্ট নন। অভিমান আছে তাঁর। বললেন, আগামী বছর ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিমন্ত্রণ না পেলে, নিজেই তাঁর বাড়ি গিয়ে ফোঁটা নেবেন। আরও অভিযোগ করলেন, রাজ্য সরকার কোনও অনুষ্ঠানেই তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। যা তিনি প্রত্যাশা করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এসব কথার মাধ্যমে রাজ্যপাল বারবার বুঝিয়ে দিতে চাইছেন যে তিনি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যথাযথ সম্মান বা গুরুত্ব পাচ্ছেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.