সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসসি-এসটি বিল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। বিল পাশ না হওয়ায় রাজ্যকেই দায়ী করলেন জগদীপ ধনকড়। কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্য সরকারের উদ্দেশে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘রাজভবন কোনও রাজনীতির জায়গা নয়। সাংবিধানিক পদ নিয়ে রাজনীতি করবেন না। রাজ্যপাল জনগণের পাহারাদার।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা কুমিরের কান্না কাঁদছে, তাদের বলুন সরকার গরুর স্পিডে চলছে। রাজ্যপাল রকেটের স্পিডে কাজ করছে।’
এখানেই শেষ নয়। রাজ্যপালের পদ নিয়ে অযথা নোংরা রাজনীতি চলছে বলেও তোপ দাগেন ধনকড়। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “এই নোংরা রাজনীতি বরদাস্ত করব না। আমার কাঁধে বন্দুক রেখে এসসি-এসটি নিয়ে রাজনীতি করবেন না।” তিনি জানান, “কেন্দ্রের একটি এসসি-এসটি আইন (SC-ST Bill) আছে। দুটো আইনে আলাদা কিছু নেই। তাও কেন রাজ্য এই আইন আনতে চাইছে? তা জানতে চেয়েছি। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। আমাকে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। সব না জেনে কীভাবে সই করব? আমি অপেক্ষা করেছিলাম। কেউ আসেনি।”
একাধিক বিলে অনুমোদন দেননি রাজ্যপাল। রাজভবনেই আটকে রয়েছে বিলগুলি। সেই কারণে মঙ্গলবারই শেষ হয়ে যাচ্ছে বিধানসভার এবারের শীতকালীন অধিবেশন। আর তার জেরে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নজিরবিহীনভাবে বিধানসভাতেই ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান তৃণমূল বিধায়কদের। বিধানসভার কক্ষের বাইরে রীতিমতো প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন নিয়ে মিছিল করে আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান দলের তফসিলি জাতি-উপজাতিভুক্ত বিধায়করা। একইসঙ্গে এদিন রাজ্যপালের অপসারণের দাবিতে রাজ্যসভায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদরা। অধিবেশন ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান ডেরেক ও’ব্রায়েন, শুখেন্দুশেখর রায়রা। তাঁদের প্রতিবাদের সময় রাজ্যসভা টিভি ব্ল্যাক আউট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.