গৌতম ব্রহ্ম: নজিরবিহীনভাবে ২ দিনের জন্য মুলতুবি হয়ে গেল বিধানসভার অধিবেশন। সূত্রের খবর, একাধিক বিল যেগুলি ৪ ও ৫ ডিসেম্বর বিধানসভায় পেশ হওয়ার কথা ছিল, সেই বিল সই করে ফেরত পাঠাননি রাজ্যপাল। সেই কারণেই স্থগিত করা হয় বিধানসভা অধিবেশন। রাজভবনের এই ঢিলেমিতে সরব বিরোধীরা। রাজ্যপাল জানান, বিলগুলি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য মেলেনি বলেই বিল সই করতে পারেননি তিনি।
বেশ কয়েকটি পদ্ধতির মাধ্যমে যে কোনও বিল আইনে পরিণত হয়। পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী, আইনে পরিণত করতে প্রথমে বিলটি মন্ত্রিসভায় পেশ করতে হয়। মন্ত্রিসভার সম্মতি মেলার পর তা পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল সেই বিলটিতে সই করার পর সেটিকে বিধানসভায় পেশ করা হয়। বিধানসভায় পেশ করা হলে বিলটি পাশ হওয়ার পর সেটিকে ফের রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। পুনরায় রাজ্যপালের সম্মতি মেলার পরই সেই বিলটি আইনে পরিণত হয়। কিন্তু রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এই নিয়মের বদল ঘটিয়েছেন। তিনি স্থির করেছেন, মন্ত্রিসভায় বিল পাশের পর সেটি তাঁর কাছে পাঠানো হলে যে দপ্তরের তরফে উক্ত বিল আনা হয়েছে, সেই দপ্তরের প্রধান সচিবকে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হবে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বিলটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পরই বিলে সই করবেন রাজ্যপাল।
এই নিয়ম মেনেই রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল একাধিক বিল। রাজ্যপালের সম্মতি পাওয়ার পর আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবার সেগুলি বিধানসভায় পেশ করার কথা ছিল। সূত্রের খবর, উক্ত বিলে সই করে ফেরত পাঠাননি রাজ্যপাল। সেই কারণেই স্থগিত করা হয়েছে আগামী দু’দিনের বিধানসভা অধিবেশন। হঠাৎ করে বিধানসভা অধিবেশন বন্ধ রাখায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজভবনে বিল আটকে থাকার কারণে বিধানসভা অধিবেশন বন্ধ রাখার মতো ঘটনা এই প্রথম ও নজিরবিহীন।
তবে রাজভবনে বিল আটকে থাকায় অধিবেশন স্থগিত করার প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দাবি, বিল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য তার কাছে পাঠানো হয়নি, সেই কারণেই তিনি সই করে বিলগুলি ফেরত পাঠাতে পারেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.