Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিধানসভায় শুরু বাজেট অধিবেশন, রাজ্যে উন্নয়নের প্রশংসা রাজ্যপালের

অধিবেশনের শুরুতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বাম ও কংগ্রেস বিধায়কদের।

Governor addresses WB Assembly
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:February 1, 2019 6:26 pm
  • Updated:February 1, 2019 6:26 pm  

রাহুল চক্রবর্তী:  বাংলায় শান্তিসম্প্রীতি ও উন্নয়ন ও সহিষ্ণু পরিবেশের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। শুক্রবারই বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। সূচনায় রাজ্যপালের ভাষণে যেমন  জিএসটি, নোটবন্দির মোকাবিলা করে রাজ্যের উন্নয়ন প্রাধান্য  পেয়েছে, তেমনি দুর্গাপুজো-সহ সব উৎসবে সম্প্রীতির পরিবেশ ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে এদিন অধিবেশনের শুরুতে ওয়েলে নেমে রাজ্যপালের ভাষণে বাধা দেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা। 

[নেই পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশকর্মী, বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার স্বপ্ন অধরা প্রাক্তন মাও নেত্রীর]

Advertisement

রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে রাজ্যের অর্থনীতি কীভাবে উন্নয়নের পথে গিয়েছে, সে প্রসঙ্গও তোলেন। জিএসটি ও নোটবন্দির ক্ষেত্রে যেভাবে রাজ্য বিপর্যয় সামাল দিয়েছে,  তার প্রশংসা করেছেন। রাজ্যপাল উল্লেখ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের চাপিয়ে দেওয়া নোটবন্দি এবং  জিএসটি চালুর সাঁড়াশি আক্রমণের মোকাবিলা করেও জাতি-ধর্ম-বিশ্বাস ও গ্রাম-শহর নির্বিশেষে উন্নয়নের পথ থেকে বিচ্যুত হয়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশংসা করে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেছেন, “গত বছর পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক পরিবেশ যথেষ্ট শান্তিপূর্ণ ছিল। নিরন্তর নজরদারিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় ছিল।” শিল্পায়নে রাজ্য সরকারের ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন রাজ্যপাল। বলেছেন, “গত ছ’বছরে রাজ্যের মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে যা জাতীয় মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৮.২৩ শতাংশ। এছাড়া রাজ্যের মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদন ১৫.৫ শতাংশ হারে বেড়েছে, যা জাতীয় হারের থেকে অনেক বেশি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ অন্য রাজ্যগুলির মধ্যে সেরা।”

আগামী ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হবে। আগের সম্মেলনগুলিতে প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল। রাজ্যপাল তা উল্লেখ করে বলেছেন, তার মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রস্তাব রূপায়ণের কাজ চলছে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের আরও মন্তব্য,  “সরকার গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও ধর্মনিরেপক্ষতা – এই তিনটি স্তম্ভকে রক্ষা করে সহানুভূতি ও সহিষ্ণুতার রঙে সজ্জিত এক সর্বজনীন সমাজ কাঠামো রচনায় বদ্ধপরিকর।” বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি সম্প্রতি রাজ্যে এসে দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ টেনেছিলেন। কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ভাষণে অবশ্য বলেছেন, “দুর্গাপুজো, ইদ, বড়দিন, উপজাতি সম্প্রদায়গুলির অনুষ্ঠান, বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সবক’টি উৎসব শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে।”

ছবি: অমিত ঘোষ

[ চা পাতার আড়ালে মাদক ঢুকছে শহরে, ফাঁস ‘খট’ পাচারচক্র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement