দীপংকর মণ্ডল: বৈঠকে কাজ হয়নি। সশরীরে বেহালা কলেজে গিয়ে পরিচালন সমিতির ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রীর কড়া বার্তা, বহিরাগতরাই শুধু নন, কলেজে প্রাক্তনীদেরও অবাধ যাতায়াত বরদাস্ত করা হবে না।
[সহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু, হাই কোর্টে একদিনের কর্মবিরতি আইনজীবীদের]
খোদ শিক্ষামন্ত্রীর বিধানসভা এলাকার একটি কলেজে গণ্ডগোল। দফায় দফায় পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত বেহালা কলেজ। বুধবারও কলেজের গেটে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের একাংশ। ক্যাম্পাসের পড়ুয়াদের দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মাথা ফাটে একজনের। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, বেহালা কলেজের গেটে পুলিশ পিকেট বসানো হয়। কলেজে ছাত্র সংসদের কাজকর্ম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন অধ্যক্ষ শর্মিলা মিত্র। পড়ুয়াদের অভিযোগ, কারও কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা, আবার কারও কাছ থেকে দু’হাজার টাকা নিয়ে ক্লাসে উপস্থিতির হার বাড়িয়ে দিচ্ছেন টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের নেতারা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষায় বসার জন্য এখন কলেজে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কিন্তু, বেহালা কলেজের অনেক পড়ুয়ারই উপস্থিতির হার কম বলে জানা গিয়েছে।
বেহালা কলেজে ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ গণ্ডগোলের সূত্রপাত্র গত শনিবার। সেদিন কলেজের গেটে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্র সংসদ সদস্যদের বচসাও হয়। কলেজে বহিরাগতরাও ঢুকেছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিবাদ মেটাতে দু’পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, তারপর ফের বুধবার বেহালা কলেজে উত্তেজনা ছড়ায়। বৃহস্পতিবার নিজেই কলেজে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কথা বলেন অধ্যক্ষ শর্মিলা মিত্রের সঙ্গেও।
[ বাম-মিছিলে শহরে তীব্র যানজট, ভোগান্তি আমজনতার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.