ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: বুঝতে পারেনি লুঠেরার দল। এটিএম কাউন্টারে থাকা প্রিন্টিং মেশিন দেখে মনে করেছিল, ভিতরে অনেক টাকা আছে। তাই ফাঁকা এটিএম দেখে মেশিনটিকেই টার্গেট করেছিল তারা। যন্ত্রটি তারা পুরোপুরি ভাঙতে না পারলেও নষ্ট করেছে। তবে কোনও টাকা পাওয়া যায়নি৷
একদিকে টাকা লুট করতে গিয়ে লুঠেরাদের ব্যর্থতা, আরেকদিকে এই ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শহরের পুলিশ আধিকারিকরা। এ বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তরফে পূর্ব কলকাতার আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।পুলিশ জানিয়েছে, আনন্দপুরের মাদুরদহে এই ঘটনাটি ঘটে। এখানেই রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এটিএম। এখানে টাকা তোলার সঙ্গে সঙ্গে পাসবুক আপডেট করার প্রিন্টিং মেশিনও রয়েছে। যে এটিএমে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে কোনও রক্ষী ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের মতে, দুষ্কৃতীরা ভেবেছিল যে প্রিন্টার মেশিনের ভিতর টাকা আছে। সেই ধারণা থেকেই তারা প্রিন্টারটি ভাঙার চেষ্টা করে। তবে সেই কাজে পুরোপুরি সফল হয়নি৷ গোটা প্রিন্টিং মেশিনটি ভাঙতে পারেনি। সামনের কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও তারা অন্যান্য যন্ত্রগুলিতেও শাবল ও ইট দিয়ে আঘাত করে। শেষ পর্যন্ত বিফল হয়ে ফিরে যায়। পরের দিন সকালে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানতে পারে। প্রাথমিকভাবে পুলিশকে সব জানানো হয়৷
এর আগেও পূর্ব কলকাতা ও দক্ষিণ শহরতলির বেশ কিছু এটিএম ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। হরিয়ানার একটি আন্তঃরাজ্য লুঠেরার দল গ্যাস কাটার দিয়ে উত্তর কলকাতার এটিএম ভেঙে টাকা লুঠ করেছিল। কিন্তু এর পর শহরের বিভিন্ন জায়গায় শাবল, ইট ও অন্যান্য যন্ত্র দিয়ে এটিএম ভাঙার চেষ্টা করেছে লুঠেরারা। কখনও একা আবার কখনও কয়েকজন মিলে এই কাজ করেছে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যন্ত্র ভেঙে ভিতর থেকে টাকা বের করতে পারেনি। মাদুরদহের
ব্যাংকের ক্ষেত্রেও টাকা লুঠ করতেই এসেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু এই ক্ষেত্রেও তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
এর পিছনে মাদকাসক্তদের হাত রয়েছে, এমন সম্ভাবনা পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। পুলিশের ধারণা, এটি ওই এলাকা বা তার আশেপাশের অঞ্চলের দুষ্কৃতীদের
কীর্তি হতে পারে। দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে এটিএমের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.