ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: বাংলাদেশের ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। হদিশ মিলল একটি গ্যাংয়েরও। চক্রের মূল পান্ডা-সহ ৩ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এদের হেফাজতে নিয়ে বাকিদের নাগাল পেতে তৎপর পুলিশ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের ফরিদপুরের বাসিন্দা বসির মোল্লা ও তাঁর বন্ধু ইলিয়াস কলকাতায় গয়না কিনতে এসেছিলেন। কলকাতার রাস্তায় দুই ব্যক্তি সিবিআই অফিসার হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে বসিরকে ঘিরে ধরে। অভিযোগ তোলে যে বসির বেআইনিভাবে সোনা নিয়ে যাচ্ছেন। তা শুনে বসির নিজের পাসপোর্ট, ভিসা, গয়নার দোকানের বিল-সহ যাবতীয় নথি দেখানোর কথা বলেন। অভিযোগ, তাঁর কথা মানতে রাজি হয়নি ওই দু’জন। উলটে রাস্তার উপরেই মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে, চাপ দিয়ে তাঁকে চোখে রুমাল বেঁধে কলকাতা থেকে উত্তর ২৪ পরগনায় নিয়ে যাওয়া হয়। ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে সেলিম নামে চক্রের মূল পাণ্ডা। ওপার থেকে ৬ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে তবে বসিরকে ছাড়ানো হয়।
তদন্তে নেমে এন্টালি থানার ওসি দেবাশিস দত্তর নেতৃত্বে একটি দল খোঁজখবর শুরু করে। বসিরের জবানবন্দি থেকেই পাওয়া যায় সেলিমের নাম। শেষপর্যন্ত বুধবার রাতে পাটুলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সালাউদ্দিন এবং তার স্ত্রী নাসিমা বিবির খোঁজ মেলে। সালাউদ্দিনই রাস্তা থেকে বসিরকে জোর করে নিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা এই দু’জনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেলিম নিজেও বাংলাদেশের বাসিন্দা। সেইসূত্রে বসিরের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। এখন সেলিম দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা। বসির কলকাতায় এসেও সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু সেলিম যে তাঁকে এমন ফাঁদে ফেলবে, ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি। শেষপর্যন্ত সেলিমরা ধরা পড়ল পুলিশের জালে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.