স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের পর এবার মায়ানমারের (Myanmar) জলপথ ব্যবহার করে পণ্য পরিবহণ শুরু হচ্ছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এই জলযাত্রাপথের সূচনা করবেন জাহাজ রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)।
মায়ানমারের সিতোয়ে বন্দরের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য সে দেশের সঙ্গে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে জাহাজ মন্ত্রক। বহু প্রতীক্ষিত এই জলযাত্রা শুরু হচ্ছে এবার। মঙ্গলবার কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের চেয়ারম্যান পি এল হরনাধ জানান, কলকাতা থেকে সড়কপথে আগরতলায় পণ্য পাঠাতে যেখানে ৩০ দিন সময় লাগে, সিতোয়ে বন্দরের মাধ্যমে সেই সময় নেমে আসবে ১৫ দিনে। তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার প্রথম যাত্রায় সিমেন্ট পাঠানো হচ্ছে ত্রিপুরায়। ৯ মে সিতোয়ে পৌঁছবে এই জাহাজ।”
হরনাথের কথায়, খুব শীঘ্রই নাইট নেভিগেশন চালু হচ্ছে কলকাতা বন্দরে। পাশাপাশি ৪৫০ কোটি টাকায় বলাগড়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। এদিন জাহাজ রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, দেশের একমাত্র নদীবন্দর হিসাবে নিবৃত্তি-সহ একাধিক প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়তে হয় কলকাতাকে। তার পরও শেষ আর্থিক বর্ষে ৬৫.৬৬ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহণ করে পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে দেশের প্রাচীনতম এই বন্দর। পণ্য পরিবহণের নিরিখে ষষ্ঠ থেকে দেশের প্রধান বন্দরগুলির মধ্যে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। কলকাতা ও মায়ানমারের মধ্যে জলপথে পণ্য পরিবহণ শুরু হলে বন্দরের বাণিজ্য একলাফে অনেকটা এগিয়ে যাবে।
এদিন কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বন্দরের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থাকে পুরস্কৃত করা হয়।হলদিয়া বন্দরে সর্বোচ্চ পরিমাণ অনশোর ড্রাই বাল্ক ও ব্রেক বাল্ক পণ্য হ্যান্ডলিং করায় পুরস্কৃত হল রিপ্লে অ্যান্ড কোং। কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর পুরস্কার তুলে দিলেন সংস্থার প্রতিনিধি সৌপ্তিক মিত্র, সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় ও ইউ কে দুবের হাতে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান পি এল হরনাধ, হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান এ কে মেহেরা ও সম্রাট রাহি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.