ফাইল ছবি
অর্ণব আইচ: করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে বৃহস্পতিবার গোটা রাজ্যজুড়ে চলছে সাপ্তাহিক লকডাউন (Lockdown)। অত্যাবশ্যকীয় কাজ ছাড়া বাইরে বেরনো মানা। ধরুন, কারও বাড়িতে শৌচালয় নেই। কিন্তু শৌচকর্ম তো আর লকডাউন বোঝে না। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তাই বাধ্য হয়ে লকডাউন বিধি অগ্রাহ্য করতেই হল ওই ব্যক্তিকে। পুলিশ বাধা দেওয়ায় সপ্রতিভভাবে উত্তরও দিলেন তিনি। পুলিশ উত্তর শুনে হাসবে না কাঁদবে তা বুঝতে পারেনি। তাই কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে। পরে যদিও নাম, ঠিকানা লিখে নিয়ে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেন উর্দিধারীরা।
ঠিক কী ঘটেছে? পরনে সাদা রংয়ের স্যান্ডো গেঞ্জি ও লুঙ্গি। মুখে মাস্ক। এহেন ব্যক্তি লকডাউন অমান্য করে কোথায় চলেছেন তা বুঝতে পারেননি নিউ আলিপুর মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। তাঁর পথ আটকান উর্দিধারীরা। ছুঁড়তে থাকেন প্রশ্নবাণ। “লকডাউনে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন কেন? কোথায় যাচ্ছেন?” পুলিশের প্রশ্ন চুপচাপ শোনেন ওই ব্যক্তি। পুলিশের বলা শেষ হলে সপ্রতিভভাবে উত্তর দিতে শুরু করেন তিনি। উত্তরে বললেন, “বাড়িতে বাথরুম নেই তাই পায়খানা করতে বেরিয়েছি।”
উত্তর শুনে পুলিশ হতবাক। কারণ, এর আগে পুলিশ লকডাউন অমান্যকারীদের হাতে পুরনো প্রেসক্রিপন দেখেছে। শুনেছে ওষুধ কিনতে বেরনোর অজুহাত। কিন্তু ‘পায়খানা করতে বেরিয়েছি’ বলতে শোনেননি উর্দিধারীরা। সকলে সকলে মুখের দিকে তাকাতে শুরু করে। ওই ব্যক্তিকে যেতে দেওয়া উচিত নাকি নয়, তাই বুঝতে পারেন না পুলিশকর্মীরা। পরে যদিও খাতায় ওই ব্যক্তির নাম, ঠিকানা লিখে নেওয়া হয়। এরপর বাড়িও পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। গ্রামে গঞ্জে প্রত্যেক বাড়িতে শৌচালয় রয়েছে বলেই প্রশাসনিক তরফে দাবি করা হয়। তা সত্ত্বেও খোদ কলকাতার বাসিন্দার বাড়িতে শৌচালয় না থাকার কথা ঠিক কতটা যুক্তিপূর্ণ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.