অর্ণব আইচ: সামনে সোনার দোকান। তারই আড়ালে সোনা পাচারের রমরমা কারবার। বাংলাদেশ থেকে চোরাই সোনা পাচার করে কলকাতায় বসে চলত গয়না তৈরির কাজ। কলকাতা থেকে চোরাই সোনা পাচার করা হত মুম্বই ও রায়পুরে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চোরা কারবারের একটি বড়সড় চক্র হাতেনাতে ধরে ফেললেন ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্সের গোয়েন্দারা। গ্রেপ্তার হল এই চোরা কারবারের দশজন মাথা ও সদস্য। উদ্ধার হল ৪২ কেজি সোনা, ৫০০ গ্রামেরও বেশি সোনার গয়না, যার বাজারমূল্য সাড়ে ১৬ কোটি টাকা।
ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে আধিকারিকরা খবর পান যে, বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সোনা পাচার হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায়। উত্তর কলকাতার কয়েকজন সোনার কারবারির নেতৃত্বে চলছে এই চোরাই ব্যবসা। তদন্তে নেমে ডিআরআই আধিকারিকরা এই চক্রের মূল পান্ডার ছদ্মনামটিও জানতে পারেন। সেইমতো কালীচরণ ঘোষ রোডের একটি বহুতল আবাসনে গোয়েন্দারা হানা দেন। ফ্ল্যাটের ভিতর গোপন কুঠুরি ভেঙে উদ্ধার হতে শুরু করে সোনার বাট। গ্রেপ্তার করা হয় গোবিন্দ মালব্য ওরফে গোবিন্দলাল লোহারকে।
তাকে জেরা করে আরও কয়েকজনের সন্ধান মেলে। সিঁথির মোড়ের দেশপ্রিয় নগর এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ মোল্লা ধরা পড়ে গোয়েন্দাদের হাতে। তল্লাশি চলে তার সিঁথির দোকানে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ২৬ কেজি ৬৫০ গ্রাম সোনা। এর বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫৭ হাজার টাকা। একইসঙ্গে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত আরও পাঁচজন – আন্না রাম, মহেন্দ্র কুমার, সুরজ মোল্লা, কৈলাস যোগতপ, বিশাল অঙ্কুশ মানেকে একে একে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিআরআই সূত্রে খবর, জেরার মুখে গোবিন্দ মালব্য গোয়েন্দাদের জানায় যে বেশ কিছু পরিমাণ সোনা সে ও তার সঙ্গীরা ট্রেনে করে রায়পুর ও মুম্বই পাঠিয়েছে। সেই সূত্র ধরে আবার রায়পুর থেকে আট কেজি ও মুম্বই থেকে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। ওই দুই জায়গা থেকে গোপা রাম, মিলন কুমার ও সাহিল জৈন – এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দারা। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে ডিআরআই সূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.