Advertisement
Advertisement

Breaking News

বড় নোট বাতিলের জেরে মন্দা সোনা বাজারে

ঝাঁপ বন্ধ রেখে খরচ বাঁচাচ্ছে সোনা বাজার৷

Gold jewelers are in trouble for the absence of 500, 1000 note
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 12, 2016 9:49 am
  • Updated:July 15, 2022 4:50 pm  

তরুণকান্তি দাস: বন্ধ নাকি? কলকাতার এই রাস্তায় এমনিতেই গাড়ির চাকা গড়াতে চায় না৷ তায় বিয়ের মরশুম৷ অথচ কোথায় কী? ফাঁকা৷ শুনশান এই চত্বর৷ বউবাজারের চেনা ছবি কোথায় গেল? একের পর এক দোকানের ঝাঁপ বন্ধ৷ যে রাস্তার দু’পাশে পার্কিং পাওয়া মানেই যেন হাতে একফালি চাঁদ সেখানে শুক্রবার দুপুরেও সহজেই গাড়ি রেখে দেওয়া যাচ্ছে৷ কেন? পাঁচশো ও হাজার টাকা বাতিলের ধাক্কায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছে সোনার বাজার৷ যা ছিল উচ্চবিত্ত তো বটেই, মধ্যবিত্তের লগ্নির সহজ ও প্রথম গন্তব্য, সেই পথে হঠাৎ যেন হিমালয়ের মতো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে কাঁচা টাকার অভাব৷ একশো টাকা এমনিতেই অমিল৷

বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ক খোলার পর ভাবা গিয়েছিল পরিস্থিতি একটু বদলাবে৷ তার পরও যেটুকু অক্সিজেনের অভাব ছিল নগদের জোগানে তা মিটে যাবে শুক্রবার এটিএম খুলে গেলে৷ কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল তা হয়নি৷ বরং সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে নগদ অর্থাভাব৷ বাণিজ্যের পরিভাষায় ক্যাশ ফ্লো৷ ফলে গত দু’দিন মাছি তাড়িয়ে বেড়ানোর পর অধিকাংশ দোকান মালিক ঝাঁপ বন্ধ রাখাই সমীচীন বলে মনে করেছেন৷ সেই মনোভাবের প্রতিবিম্ব যেন হপ্তা শেষের আগের দিনের বউবাজার৷ যা কলকাতার তথা রাজ্যের স্বর্ণালংকার শিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করে৷ এবং এখন নিজেই নিয়ন্ত্রিত পাঁচশো ও হাজারে বাজারের মুখ ব্যাজারের দাপটে৷

Advertisement

শুধু বউবাজার কেন, বড়বাজার, গড়িয়াহাট, বেহালার বড় মাপের সোনার বাজারও যেন ঝিমিয়েছে গত দু’দিন৷ এমনিতে দু’লাখ টাকার সোনা কেনার সময় প্যান কার্ড নম্বর উল্লেখ করতে হবে বলে অর্থমন্ত্রকের সিদ্ধান্তে অনর্থ বেধেছিল সোনা বাজারে৷ তার পর সেই পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয় বছরে কেউ যদি দু’লাখ টাকার অলংকার কেনেন তবে তাও আয়করের স্ক্যানারে চলে আসবে, এমন সিদ্ধান্তে৷ এই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই যে ঝড় আছড়ে পড়ল দেশের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারে তাতে গেল গেল রব উঠেছে৷ পাঁচশো এবং হাজার টাকার নোট ছাড়া সোনার বাজারে ক্রেতা ভাবাই যায় না৷

প্রায় হাজার টাকা বেড়ে দশ গ্রাম সোনার দাম (২৪ ক্যারাট) প্রায় ৩২ হাজারের ঘরে ঢুকি ঢুকি করলেও কোনও ক্রেতা তেমন উঁকি মারেননি৷ অথচ অন্য সময় হলে সোনায় লগ্নিতে মারকাটারি হুড়োহুড়ি না পড়লেও ক্রেতা অনেক বেড়ে যেত৷ ব্যবসা অন্তত ২০ শতাংশ বাড়ত৷ কিন্তু কোথায় সেই ছবি? এ যেন সময় উল্টো দিকে ঘুরছে৷ পশ্চিমবঙ্গ স্বর্ণশিল্প বাঁচাও সমিতির এক কর্তা বলেন, “এমনিতেই মরা বাজার৷ এবার বিয়ের মরশুমে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল৷ তা সমূলে উপড়ে গেল নগদ জোগানের অভাবে৷ সবাই তো আর অনলাইনে পেমেন্ট করবে না৷ ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডের ক্রেতাই বা কতজন? এখন অপেক্ষা কবে বাজারে নগদ জোগান (ক্যাশ ফ্লো) স্বাভাবিক হবে৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement