ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: পুলিশি অভিযানে শহর থেকে পরপর উদ্ধার সোনা ও মাদক। যে ঘটনার জেরে এখনও অবধি গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট আট পাচারকারীকে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়েই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর আধিরকারিকরা উল্টোডাঙায় অরবিন্দ সেতুর কাছে হানা দেন। নদিয়ার চাপড়ার শাহজ্জামাল হালসানা, নৌসাদ হালসানা ও বাগুইআটির সজীব মণ্ডল ওরফে সুজিতকে গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করেন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় মোট ২ কিলো ১২৫ গ্রাম ওজনের ১৮টি সোনার বাঁট। যার বাজার দর প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও উদ্ধার হয় ১০ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা। এই সোনা যে বাংলাদেশ থেকেই পাচার করা হয়েছে, তা স্বীকার করে অভিযুক্তরা। কিন্তু এসবের সঙ্গে কেন বাংলাদেশি টাকা পাচার করা হচ্ছিল? ধৃতদের কাছ থেকে আপাতত সেটাই জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
অন্যদিকে, এদিনই লালবাজারের গোয়েন্দারা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দক্ষিণ বন্দরের ভূকৈলাস রোডে হানা দিয়ে ২২ কিলো মাদক উদ্ধার করেন। এই গাঁজা পাচারের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ওই এলাকা ও মোমিনপুরের বাসিন্দা বিরজু মল্লিক এবং থমাস পিটার গ্যাম্বলারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুধু গাঁজাই নয় উদ্ধার হয়েছে হেরোইনও। পুলিশ সূত্রে খবর,লালবাজারের গোয়েন্দারা খবর পেয়ে গড়ফা এলাকায় তল্লাশি চালান। ওই এলাকার নস্করপাড়া লেন থেকে তারক ছেত্রী, সেবাব্রত দে ওরফে বুম্বা ও সত্যব্রত চৌধুরিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে মোট ২৬০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, এই শহরের বুকে বড় মাদকচক্র চালাচ্ছে ধৃতরা। একাধিক জায়গায় উদ্ধার হতে পারে আরও মাদক। আর তাই ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.