অর্ণব আইচ: বিয়ের টোপ দিয়ে এক যুবতীর কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দিল ‘হবু বর’ ও তার পরিবার। উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সরকারি হাসপাতালের ওই নার্স। ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় নার্স ওই যুবতীর আসল বাড়ি কোচবিহারে। কর্মসূত্রে তিনি কলকাতায় আসেন। থাকেন উত্তর কলকাতার একটি হস্টেলে। এখানে থাকার সময়ই তাঁর সঙ্গে এক যুবকের পরিচয় হয়। ক্রমে ওই যুবক তাঁকে ভালবাসার ফাঁদে ফেলে। তাঁকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতিও দেয়। রাজি হয়ে যান যুবতীও। বিয়ের কথা এগোতেই যুবক তাঁকে জানায়, তার মা-বাবা অসুস্থ। তাই তার টাকার প্রয়োজন। যেহেতু তাঁদের দু’জনের বিয়ে হচ্ছে বলেই যুবতী জানতেন, তাই তিনি আর টাকা দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। তিনি যুবককে টাকা দেন। যুবক তার পরিবারের লোক বলে এক মহিলা ও এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেয়। তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ওই মহিলার। সেই সূত্র ধরে ওই দু’জনও যুবতীর কাছ থেকে টাকা চায়। আবার যুবকও কখনও চিকিৎসা, কখনও বাড়ি সারানো-সহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে টাকা নিতে থাকে। যুবতী বিশ্বাস করে তাঁর জমানো টাকা দিয়েও দেন।
শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, গত এক বছর ধরে তিনি ৯ লাখ টাকা দিয়েছেন তাঁর হবু বর ও তার পরিবারকে৷ এরপর কয়েক মাস আগে থেকে তিনি ওই যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু যুবক তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। একসময়ে যোগাযোগ বন্ধও করে দেয়। এরপর শত চেষ্টা করেও যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি ওই নার্স। এরপর গোটা বিষয়টি জানিয়ে তিনি শ্যামপুকুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন। পরে তিনি লালবাজারে গিয়ে গোয়েন্দা কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। শ্যামপুকুর থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।
অন্যদিকে, ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে এক মহিলার কাছ থেকে গয়না নিয়ে চম্পট দিল চার দুষ্কৃতী। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি ঠাকুরপুকুরের আনন্দনগরে। তাঁর কানে সোনার দুল, হাতে সোনার বালা ও আংটি ছিল। জানা গিয়েছে, চার যুবক ওই মহিলাকে প্রথমে সাবধান করে বলে, এভাবে সোনার গয়না পরে থাকলে ছিনতাই হয়ে যাবে। একটি কাগজ দিয়ে বলে গয়নাগুলি খুলে কাগজে মুড়িয়ে তাঁর ব্যাগে রেখে দিতে। তিনি গয়নাগুলি খুলে সেই কাগজ মুড়ে রাখতেই তারা সাহায্য করার নামে হাতের কারসাজিতে কাগজের মোড়ক পালটে গয়নাগুলি নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এই বিষয়ে ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.