সুব্রত বিশ্বাস: দৌড়াতে দৌড়াতে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে দেখলেন ট্রেন বেরিয়ে গিয়েছে। এদিকে ঘেমে-নেয়ে একাকার কাণ্ড। হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে যে একটু হাওয়া খাবেন তেমন জায়গারও বড্ড অভাব। ফ্যান থাকলেও তার সামনে মেলা লোক। হাওয়া আপনার কাছে পৌঁছাবে না। হাওড়া স্টেশনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য পূর্ব রেল নয়া উদ্যোগ নিয়েছে। স্টেশনে বসেছে বিশালাকার সিলিং ফ্যান। যার নিচে বসলে মিলবে গরমের হাত থেকে মুক্তি।
[গোমড়া মুখে হাসি ফোটাতে ভরসা ‘ম্যাজিক মাশরুম’]
হাওড়া স্টেশনের ফুড কোর্ড লাগোয়া এলাকায় এই ফ্যান বসানো হয়েছে। হাওড়া স্টেশনে এই এলাকা অনেকটা প্রশস্ত। যাত্রীরা এখানেই ট্রেনের জন্য মূলত অপেক্ষা করেন। বসার এবং দাঁড়ানোর জায়গা রয়েছে অনেকটা। সাধারণ পাখা হলে তার নিচে দাঁড়ালে কয়েকজন হাওয়া পান। কিন্তু এই দৈত্যাকার পাখাটি ২৪ফুট দীর্ঘ। ওজন প্রায় এক কুইন্টাল। মাটি থেকে প্রায় ৩০ ফুট উঁচুতে পাখাটি বসানো হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে ফ্যানটির নিচে ৪০ ফুট ব্যাসার্ধ পর্যন্ত ভালমতো হাওয়া মিলবে। পূর্ব রেলের ডিআরএম মনু গোয়েল জানান, ”আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। একটি পাখা চলছে। ফলাফল সন্তোষজনক হলে আরও ফ্যান বসানো হবে।” মুম্বই এবং আহমেদাবাদে এধরনের দৈত্যাকার ফ্যান রয়েছে। পূর্ব রেলের সবথেকে ব্যস্ত স্টেশন হাওড়াতেও এবার সেই পরিষেবা পেলেন যাত্রীরা। পুজোর পর থেকে ক্লান্তিহীনভাবে বনবনিয়ে ঘুরছে পাখাটি।
[সংস্কার হলেও ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে কপালকুণ্ডলা মন্দির]
নতুন ধরনের এই ফ্যান ঘিরে ইতিমধ্যে যাত্রীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। যারা দীর্ঘ সময় ট্রেনের অপেক্ষায় থাকেন তারাও দু’দণ্ড জিরিয়ে নিতে ফ্যানের তলায় জায়গা খুঁজছেন। হাওয়া খেতে খেতে কেউ কেউ আবার পাখার সঙ্গে সেলফিও তুলছেন। একসময় হাওড়া স্টেশনে বিশালাকার ঘড়ি ছিল অন্যতম দ্রষ্টব্য। যেখানে অনেকেই ওই ঘড়ির সামনে দেখা করতেন। হাওড়া স্টেশনের পরিচিতি এই ফ্যান অনেকটা বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছেন যাত্রীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.