Advertisement
Advertisement

‘ভূতুড়ে গ্যাস’-এ আতঙ্ক ছড়াল পার্ক স্ট্রিটের স্কুলে

দুর্ঘটনা এড়াতে স্কুল থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় ছাত্র-ছাত্রীদের৷

Gas Leak Scare At Park Street School, Students Evacuated
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 4, 2016 9:53 am
  • Updated:November 4, 2016 9:53 am  

স্টাফ রিপোর্টার: ভূতুড়ে গ্যাস৷ এ ছাড়া কী-ই বা তাকে বলা যায়?
গত তিনদিন ধরেই এই গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলেন পার্ক স্ট্রিটের একটি নামী বহুতলের একতলার বাসিন্দা এক বৃদ্ধ৷ গন্ধটা গ্যাসের৷ মিনিট কুড়ি থাকে৷ আবার মিলিয়ে যায়৷ বৃহস্পতিবার এই গ্যাসের গন্ধ পেলেন ওই বহুতল লাগোয়া পার্ক স্ট্রিটের উপর একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা৷ ‘গ্যাস লিক’-এর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল স্কুলজুড়ে৷ দুর্ঘটনা এড়াতে স্কুল থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় ছাত্র-ছাত্রীদের৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও দমকল৷ দমকল গ্যাস লিক-এর সূত্র খুঁজে পায়নি৷ একটি গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার আধিকারিকদেরও ডাকা হয়৷ তাঁরা এসে স্কুল ও তার চারদিকে পরীক্ষা চালান৷ কিন্তু ওই গ্যাস বের হওয়ার উৎসের সন্ধান মেলেনি৷ তাই দমকল ও গ্যাস সংস্থা স্পষ্টই স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে যে, বিপদের কোনও কারণ নেই৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিন্ত৷ শুক্রবার থেকে ফের ক্লাস শুরু হচ্ছে৷ কিন্তু রহস্য মেটেনি৷ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশ্ন, আবার ভূতুড়ে গ্যাস যদি ভুতুড়ে কাণ্ড ঘটাতে থাকে?
স্কুলের অধ্যক্ষ জগমোহন সিং জানান, সকাল থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত জুনিয়রদের ক্লাস চলে৷ সকাল এগারোটা থেকে চলে সিনিয়রদের ক্লাস৷ এদিন সকাল সওয়া এগারোটা নাগাদ টিচার্স রুম থাকা সাত শিক্ষক ও শিক্ষিকাই প্রথমে গ্যাসের গন্ধ পান৷ কিন্তু কোথা থেকে গ্যাস লিক হয়েছে, তা তাঁরা বুঝতে পারেননি৷ গন্ধ বাড়তে থাকে৷ টিচার্স রুম থেকে ওই গন্ধ জুনিয়রদের ক্লাস পেরিয়ে পৌঁছয় অধ্যক্ষের ঘরেও৷ ততক্ষণে আতঙ্কে টিচার্স রুম থেকে বেরিয়ে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও৷ অধ্যক্ষা জানান, কিছুদিন আগেই পার্ক সার্কাসের একটি নামী স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের দু’টি গেট দিয়ে বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়৷ স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের ফোন করে তাদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন৷ একই সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ ফোন করে পুলিশ ও দমকলকে৷
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমেই দমকল টিচার্স রুমের দিকে গিয়ে গ্যাসের উৎস খোঁজার চেষ্টা করে৷ একতলা থেকে তিনতলা প্রত্যেকটি তলায় গ্যাসের উৎসের সন্ধান চালানো হয়৷ কিন্তু পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, তাঁরা তীব্র গ্যাসের গন্ধ পাননি৷ তাই উৎসও খোঁজা যায়নি৷ স্কুল জানিয়েছে, তাঁদের স্কুলের গ্যাসের কোনও পাইপ নেই৷ স্কুলের ক্যান্টিনেও গ্যাস সিলিন্ডার নেই৷ আশপাশের কোনও রেস্তোরাঁ থেকে এই গ্যাস বেরিয়েছে না কি মাটির তলায় কোনও গ্যাসের লাইন থেকে গ্যাস লিক হয়েছে, তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ৷ গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাও গ্যাস লিক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে৷ শুধু প্রতিবেশী এক বৃদ্ধ স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান, কখনও দুপুর, আবার কখনও বিকেলে তিনি লিক হওয়া গ্যাসের গন্ধ পেয়েছেন৷ মিনিট কুড়ি পর গ্যাসের গন্ধ মিলিয়ে গিয়েছে৷ তাই কাউকে জানাননি৷ এখনও এই গ্যাস-রহস্যের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement