Advertisement
Advertisement

বিশ্বাসই হচ্ছে না প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, এখনও আতঙ্কে বহুতলের বাসিন্দারা

পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছে৷

Gariahat market's fire disaster to neighbourhoods
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 20, 2019 1:45 pm
  • Updated:January 20, 2019 1:48 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের রাত৷ ঘড়ির কাঁটা তখন সবেমাত্রই ১ টা ছুঁয়েছে৷ আচমকাই চিৎকার – আগুন লেগেছে৷ বিছানায় শুয়ে কেউ কেউ শুনতে পান সেই চিৎকার৷ কেউ কেউ ঘুমের ঘোরে ভেবেছেন ভুল শুনছেন৷ তাই বিছানা ছেড়ে ওঠার চেষ্টা করেননি৷ আচমকাই শুরু হয় দরজায় ধাক্কাধাক্কি৷ তখনই ভুল ভাঙে৷ ঘুমের মাঝে স্বপ্নের পরিবর্তে এ যে কঠোর বাস্তব, দেরিতে হলেও তা বুঝতে পারেন সকলে৷ কোনওক্রমে তাড়াহুড়ো করে বহুতল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন আবাসিকরা৷ প্রাণ বেঁচেছে ঠিকই, তবে গড়িয়াহাটের অগ্নিদগ্ধ বহুতলের বাসিন্দাদের এখনও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না৷

[রাতের শহরে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, গড়িয়াহাটে পুড়ে ছাই নামী শাড়ির দোকান]

শনিবার রাত ১টা নাগাদ গড়িয়াহাট মোড়ের এক বহুতলে আগুন লেগে যায়৷ ওই বহুতলেই রয়েছে একটি নামী শাড়ির দোকান৷ দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই বহুতলের একের পর এক তল আগুন গ্রাস করতে শুরু করে৷ সেই সময় ওই বহুতলের আবাসিকরা রাতে ঘুমোচ্ছিলেন৷ আগুন লাগার খবর শুনে কোলের শিশুকে নিয়ে নিচে নেমে আসেন এক আবাসিক৷ কারও কারও অভিযোগ, ওই বহুতলে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না৷ চোখের সামনে বাগরির মতো বড়সড় অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেলেও, ফ্ল্যাটের ভিতরের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার দিকে নজর ছিল না কারও৷ তার জেরে এহেন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে৷ শনিবার রাতে লাগা আগুন রবিবার সকাল পর্যন্ত আয়ত্ত্বে আনা সম্ভব হয়নি৷ কার্যত জতুগৃহে পরিণত হয়েছে ওই বহুতল৷ চোখের সামনে সাজানো সংসার পুড়ে ছাই হয়ে যেতে দেখে কেঁদে ফেলেছেন আবাসিকরা৷ প্রত্যেকের চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট৷ প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, সেটাও যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁরা৷

Advertisement

[বিরল ঘটনা, মেডিক্যাল কলেজে জন্মাল ‘জায়ান্ট ফেস’ শিশু]

কীভাবে গড়িয়াহাট মোড়ের ওই বহুতলে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি৷ দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে৷ তবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যে ঠিকঠাক ছিল না, তা স্বীকার করেছেন তাঁরা৷ ১৯ টি ইঞ্জিনের সাহায্যে দমকল কর্মীরা কিছুটা হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন৷ তবে পুরোপুরি এখনও আগুন নেভেনি৷ ছোট ছোট জায়গায় আগুন জ্বলছে বলেও জানান দমকল কর্মীরা৷ গতকাল রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু৷ রবিবার সকালে গড়িয়াহাট মোড়ে যান মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার৷ তিনি বলেন, ‘‘আগুন লাগার নিশ্চিত কারণ এখনও জানা যায়নি৷ এবার আরও সাবধান হতে হবে আমাদের৷’’ অগ্নিকাণ্ডের জেরে রবিবার সকাল থেকে গড়িয়াহাটে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷ বন্ধ রয়েছে ওই চত্বরের বেশিরভাগ দোকানপাট৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement