প্রতীকী ছবি।
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ভোট শেষ, জোট শেষ। এমন অবস্থান নিয়েছে সিপিএম। তার পরেও আগ বাড়িয়ে ফের হাত ধরার প্রস্তাব দেবে কংগ্রেস (Congress)। কারণ তিনটি কেন্দ্রের নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে তৃণমূল (TMC) সম্পর্কে মত বদল করেছে হাইকম্যান্ড। আর নরম নয়, বরং কঠোর মনোভাব নিয়ে চলার পক্ষপাতী দিল্লি। এমনই বার্তা পৌঁচচ্ছে বিধানভবনে। হাইকম্যান্ডের তরফে বার্তা আসতেই বামেদের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে উদ্যোগী প্রদেশ কংগ্রেস।
পুজো কাটলেই নিজে উদ্যোগী হয়ে আলিমুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান বলে দলীয় বৈঠকে জানান প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। এমনকী, চারটি উপনির্বাচনের যে তিনটিতে কংগ্রেসের প্রার্থী নেই সেখানে বামেরা প্রচারে ডাকলে প্রদেশ নেতৃত্বকে হাজির থাকতে হবে বলে শুক্রবার দলীয় বৈঠকে তিনি জানান বলে সূত্রের খবর। এদিন কয়েকশো বিজেপি কর্মী কংগ্রেসে যোগ দেয়।
তাহলে কী ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল? প্রশ্নের জবাবে অবশ্য ভুল মানতে নারাজ অধীর। তাঁর যুক্তি, কংগ্রেস সৌজন্য দেখাতে কার্পন্য করে না। মুখ্যমন্ত্রী বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছেন। তাকে সম্মান দিতেই প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে জানান। তবে তৃণমল যেভাবে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে আক্রমণের নিশানা করেছে তা যে শীর্ষনেতৃত্ব ভালভাবে নেয়নি এদিন তাও স্পষ্ট করেন প্রদেশ সভাপতি।
অধীর চৌধুরীর অভযোগ, দিল্লির শাসকদলের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে চলছে তৃণমূল। তাই কংগ্রেসের ক্ষতি করতেই রাজ্যের শাসকদলের এহেন অবস্থান বলে মনে করেন তিনি। বিজেপি যেমন কংগ্রেস মুক্ত ভারতবর্ষের কথা বলছে রাজ্যেও তেমন তৃণমূল কংগ্রেসমুক্ত করতে চাইছে। তবে তা কখনই সফল হবে বলে দাবি করেন। এদিনই বারাসত থেকে কয়েকশো বিজেপি কর্মী কংগ্রেসে যোগদান করে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বেশকিছু কর্মীও যোগ দেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন প্রদেশ সভাপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.