Advertisement
Advertisement

Breaking News

অগ্নিমূল্য সবজি-ফলের বাজারে, বিশ্বকর্মা পুজোয় বিপাকে আম জনতা

অগ্নিমূল্য বাজারের জেরে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই মানিব্যাগ ফাঁকা হওয়ার জোগাড়।

Fruit prices soaring ahead of Vishwakarma Puja
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:September 15, 2018 3:41 pm
  • Updated:September 16, 2018 8:14 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: উৎসবের শুরুতেই বড় ধাক্কা বাঙালির। অগ্নিমূল্য বাজারের জেরে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই মানিব্যাগ ফাঁকা হওয়ার জোগাড়। উপলক্ষ–বিশ্বকর্মা ও রান্না পুজো। এক লাফে সবুজ শাক সবজি এবং ফলমূলের বাজার অনেকটাই চড়ে গিয়েছে। সাংসারিক বাজার করতে গিয়ে তাই সপ্তাহের শেষে শনিবার প্রয়োজনের অর্ধেক আনাজপাতি ও পুজোর উপকরণ কিনে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। রান্না পুজোর মূল উপকরণ চিংড়ি ও ইলিশ মাছ কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে খাদ্য রসিক এপার বাংলার গৃহস্থের।

[এক টিকিটে চতুর্থী থেকেই ঠাকুর দেখা! ব্যাপারটা কী?]

টানা বৃষ্টি, কেরলে বন্যা, বিশ চাকার লরি শহরে ঢুকতে পারছে না, এমন নানা অজুহাত তো ছিলই এবার দুই পুজোর ধাক্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিল সবজি ও ফলমূল বিক্রেতারা। পিছিয়ে নেই মাছ বিক্রেতারাও। তারমধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ডিজেলের দাম বেড়ে চলেছে হু হু করে। ফলে জিনিসের দাম আরও বাড়ছে। বাজারে আপেল, শশা, কলা, শাকালু, শরবতি লেবু, পেয়ারা, বাতাবি লেবুর মতো ফলের দাম আগুন। সাধারণ শশা ৫০ টাকা কেজি থেকে বেড়ি ৬০ থেকে ৭০ টাকা প্রতি কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে।  আপেলে কিলো প্রতি দাম বেড়েছে অন্তত ৮ থেকে ১০ টাকা। পেয়ার ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা প্রতি কিলো হয়েছে। ফল ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এমনিতেই কোনও পুজো থাকলে মার্কেট একটু চড়া থাকে। তারমধ্যে অনেক কষ্ট করে মাল নিয়ে আসতে হচ্ছে।  তাই দাম বাড়ছে।

Advertisement

[এলপিজি কেলেঙ্কারিতে ধৃত নেতার পাশে বঙ্গ বিজেপি, দিলীপের মন্তব্যে বিতর্ক]

শুধু কল কারখানা নয়। এখন বিশ্বকর্মার পুজো ঘরে ঘরে। একটি বাইক কিংবা ঘরে কোনও কম্পিউটার থাকলে এখন বিশ্বকর্মা পুজোয় মাতে বাঙালি। তাই পুজোর প্রস্তুতিতে বাজেটে টান পড়ছে অনেকেরই। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন আবার রান্না পুজো। তাই আনাজ ও মাছের বাজারও আগুন। সাধারণ আলু, পটল, লাউ, বেগুনের দাম অন্য দিনের তুলনায় বেশি বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা। মাছের বাজারেও একই অবস্থা। রান্না পুজোয় ইলিশ, চিংড়ি চাইই চাই। এদিন ইলিশের বাজারও বেশ চড়া। সাতশো-আটশো গ্রামের ইলিশ বিকোচ্ছে হাজার থেকে বারোশো টাকায়। আর ইলিশের ওজন এক কেজি ছাড়ালে তো আর কথাই নেই। দাম পড়ছে আঠারোশো। ওদিকে চিংড়ির অবস্থাও তাই। বাগদা থেকে গলদা সবেরই দাম একটু চড়া। বাজার করতে হাতে ছ্যাঁকা লাগলেও ক্রেতাদের বক্তব্য, কী করা যাবে দাম বেশি হলেও বাজার তো করতেই হবে। আর সঙ্গে পুজোর আয়োজনও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement