Advertisement
Advertisement
কলকাতা থেকে দিল্লির যেতে লাগবে কম সময়

কলকাতা থেকে এবার আরও দ্রুত দিল্লি পৌঁছবে রাজধানী এক্সপ্রেস

মালগাড়ির লাইন আলাদা হওয়ায় গতি বাড়বে ট্রেনের।

From Kolkata Rajdhani Express will reach Delhi early.
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 5, 2020 10:13 am
  • Updated:January 5, 2020 10:13 am  

সুব্রত বিশ্বাস: কলকাতা থেকে দিল্লিগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর। ট্রেনের গতিতে বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে রেল। ফলে একদিকে গন্তব্যে পৌঁছতে যেমন সময় কম লাগবে, তেমনই আবার বেশি সংখ্যক যাত্রীও যাতায়াত করতে পারবেন।রাজধানী এক্সপ্রেস হয়ে যাবে ‘নাইট কুইন’। রাত দশটায় হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে সকাল সাতটার মধ্যে পৌঁছে যাবে দিল্লি। কলকাতা-দিল্লি ও মুম্বই-দিল্লি ভারতের ব্যস্ততম করিডর ও যাত্রীবহুল। ফলে ওই দু’টি রুটে আগামী এক বছরের মধ্যে যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

[আরও পড়ুন : CAA সমর্থনে টোল ফ্রি নম্বরে মিসড কল দিন, বাড়ি বাড়ি প্রচার করবে বিজেপি]

রেল বোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের মধে্য ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। পূর্বাঞ্চলের ভাদান থেকে খুরদা ১৯৫ কিলোমিটার ফ্রেট করিডর তৈরি হয়ে গিয়েছে গত অক্টোবরেই। গত ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলের রেওয়ারি থেকে মাদার ৩০৫ কিলোমিটার ফ্রেট করিডরের কাজ শেষ হয়েছে। এই করিডর দিয়ে চালানো হবে সব মালগাড়ি। এখন কলকাতা-দিল্লি ও দিল্লি-মুম্বই করিডরে যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালগাড়ি একই সঙ্গে চলছে। ফলে মালগাড়ির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ব্লক নিতে হয়। ফলে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতি কম রাখতে হয়। মালগাড়িও চলাচলে বিলম্ব হয়। যাত্রীবাহী ট্রেনকে প্রাধান্য দেওয়ায় মালগাড়িরও গন্তব্যে পৌঁছতে বেশি সময় নেয়। মালগাড়ি নিজস্ব করিডরে চললে বর্তমানের লাইনটি শুধু যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য ব্যবহৃত হবে। আগামী দশ বছরের মধ্যে ভারতের সব প্রয়োজনীয় লাইনে এমনই ফ্রেট করিডর তৈরি হয়ে যাবে।যার খরচ ধরা হয়েছে ২.৬ লক্ষ কোটি টাকা।

Advertisement

[আরও পড়ুন : Paytm প্রতারণার শিকার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী, উধাও মোটা অঙ্কের টাকা]

ঝঞ্ঝাট এড়ানোর ফলে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতি বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে চলবে ট্রেন। এই গতিবেগে ট্রেন চালাতে লাইনের পরিকাঠামোর বদল শুরু হয়েছে। ফলে ট্রেনের গতি ৬০ শতাংশ বেড়ে যাবে। ফলে কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যাবে। পাশপাশি বেশি সংখ্যক ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। বেশি সংখ্যক যাত্রীও ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি এই দু’টি লাইনে চলাচলকারী ১২০টি ট্রেন এলএইচবিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ১০৪টি মেমুতে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে বাড়তি যাত্রী বহন হতে পারবে। আগামী এক বছরের মধে্য যাত্রী পরিবহণে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে দাবি রেল কর্তাদের।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement