ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিঘায় গিয়ে চার বান্ধবী মিলে কিছুটা সময় কাটাবেন বলেই স্থির করেছিলেন৷ সেই অনুযায়ী কাজের ব্যস্ততা সামলে পাড়ি দিয়েছিলেন সৈকত শহরে৷ কিন্তু আনন্দ করতে গিয়ে যে এমন ঘটনা ঘটবে, তা ভুলেও ভাবেননি তিলোত্তমার চার তরুণী৷ ঘুরতে গিয়ে যে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার স্বীকার করতে হল তাই এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁদের৷
সদ্য বছর কুড়ি পেরনো চার তরুণী৷ গত শুক্রবার সকালে দিঘায় পৌঁছান তাঁরা৷ সমুদ্রের খুব কাছে নিউ দিঘার একটি হোটেল ভাড়া নেন তরুণীরা৷ তাঁদের অভিযোগ, এসি ঘর বুক করা সত্ত্বেও তা খারাপ ছিল৷ হোটেলের বাথরুমে ঠিকমতো জল পাচ্ছিলেন না চার তরুণী৷ বাধ্য হয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন তাঁরা৷ তবে তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷ এ সব সমস্যা যদিও বেড়াতে যাওয়ার আনন্দে কিছুটা ম্লান হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু গন্ডগোল হল রাতে৷ তরুণীদের অভিযোগ, মধ্যরাতে আচমকাই কেউ তাঁদের ঘরের দরজা ধাক্কা দিতে থাকে৷ কে জানতে চাইলে কোনও উত্তর পাননি৷ ওই পর্যটকদের কথায়, ‘‘এত জোরে দরজায় ধাক্কা দেওয়া হচ্ছিল, যেন মনে হচ্ছিল ভেঙে যাবে৷ কিন্তু দরজা খোলার সাহস পায়নি৷ সারারাত জেগে বসেছিলাম চারজন৷’’
ভোর হতে না হতেই হোটেল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন তাঁরা৷ গতরাতের ঘটনা জানান চার তরুণী৷ সিসিটিভি ফুটেজও দেখতে চান তাঁরা৷ তবে সেকথা শুনে নাকি অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন হোটেল ম্যানেজার৷ পালটা চার তরুণীকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ৷ পর্যটকদের আরও অভিযোগ, কথা কাটাকাটি চলাকালীন এক তরুণীকে লাথিও মারা হয়৷ বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হন তরুণীরা৷ তবে সেখানেও বিশেষ লাভ হয়নি৷ তরুণীদের দাবি, ব্যবস্থা না নিয়ে শান্ত মাথায় তাঁদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ বেড়ানোর পরিকল্পনা মাটি হয়েছে তা বুঝতে পেরে কলকাতায় ফিরে আসেন চার বান্ধবী৷ মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা৷ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন চার তরুণী৷
হোটেল মালিক আশিস প্রধান যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ কেন তুচ্ছ একটি ঘটনাকে নিয়ে ওই মহিলারা বাড়াবাড়ি করছেন তা বুঝতে পারছেন না বলেই দাবি হোটেল মালিকের৷ দিঘা-শংকরপুর হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তরুণীদের অভিযোগ সত্যি হলে, তা পর্যটনের ক্ষেত্রে মোটেও ভাল নয়৷’’ বেড়াতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হওয়া ওই মহিলারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন৷ ইতিমধ্যেই চিকিৎসকেরও পরামর্শ নিয়েছেন তাঁরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.