Advertisement
Advertisement
কলকাতা কর্পোরেশন

পুরভোটে নয়া সংরক্ষণের কোপ, নিজের ওয়ার্ড হারাতে পরেন দাপুটে চার মেয়র পারিষদ

এছাড়া নিজের ওয়ার্ড হারাতে পারেন দুই প্রভাবশালী বরো চেয়ারম্যানও।

Four Mayor-in- councils may lose seats due reservation
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 31, 2019 5:10 pm
  • Updated:July 31, 2019 5:10 pm  

কৃষ্ণকুমার দাস: আসন্ন কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে মহিলা ও তফসিলি আসন সংরক্ষণে কোপে পড়তে পারেন চারজন দাপুটে মেয়র পারিষদ। নিজের ওয়ার্ড হারাতে পারেন দুই প্রভাবশালী বরো চেয়ারম্যানও। এছাড়াও ওয়ার্ড মহিলা ও তফসিলি হওয়ায় পুরনো আসনে ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক পরিচিত কাউন্সিলর। আপাতত নগরপালিকা আইনের ‘৩-৬-৯’ ফর্মুলায় আসন সংরক্ষণের খসড়া প্রস্তাব তৈরি করে নবান্নে পাঠাচ্ছেন মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই, তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দেবে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত করলেই তবেই হবে এই সংরক্ষণ।

[ আরও পড়ুন: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে বিশেষ সম্মান, সাহিত্যিকের নামে নামকরণ হচ্ছে কলকাতার এই রাস্তার ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, আগামী বছর পুর আইনের তৃতীয় দফার সংরক্ষণ (৩-৬-৯) মেনে কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৫টি ওয়ার্ড মহিলা এবং আটটি ওয়ার্ড তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত করা হচ্ছে। মহিলা সংরক্ষণের জেরে নিজের ওয়ার্ডে আগামী পুরভোটে দাঁড়াতে পারবেন না মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার, রতন দে, স্বপন সমাদ্দার ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও তফসিলি সংরক্ষণের জেরে নিজের ওয়ার্ডে আসন্ন পুরভোটের লড়াইতে নামতে পারছেন না দুই বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ ও ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য।

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলি হল– ৩৩, ৫৮, ৭৮, ১০৭, ১১০, ১২৭, ১৪২, ১৪৩। যাদবপুরের অন্যতম পরিচিত মুখ, সুবক্তা কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী এবং রাজডাঙার দাপুটে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ (স্বরূপ)-এর ওয়ার্ড তফসিলি সংরক্ষণের কোপে পড়েছে। মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারের বর্তমান ওয়ার্ড ৫৮ তফসিলি এবং পুরনো ওয়ার্ড ৩০ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে এবারের খসড়া প্রস্তাবে। ভোটে লড়তে হলে স্বপন, অরূপ ও সুশান্তর জন্য দলীয় নেতৃত্বকে নতুন ওয়ার্ড দিতে হবে।

[ আরও পড়ুন: পুজো কমিটির দখল ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, উত্তপ্ত রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ]

অবশ্য কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছেন, “সরকারিভাবে পুরসভা থেকে কোনও খসড়া তৈরি হয়নি। কেউ খসড়া তৈরি করে কাউন্সিলরদের ছেড়ে দিয়েছে। পুরসভা থেকে সরকারিভাবে নবান্নে এখনও কিছুই পাঠানো হয়নি।” সূত্রের খবর, মহিলাদের জন্য মহানগরের পুরভোটে নতুন ফর্মুলায় ৪৫টি ওয়ার্ড সংরক্ষিত হতে পারে। এগুলি হল– ৩, ৬, ৯, ১২, ১৫, ১৮, ২১, ২৪, ২৭, ৩০, ৩৪, ৩৭, ৪০, ৪৩, ৪৬, ৪৯, ৫২, ৫৫, ৫৯, ৬২, ৬৫, ৬৮, ৭১, ৭৪, ৭৭, ৮১, ৮৪, ৮৭, ৯০, ৯৩, ৯৬, ৯৯, ১০২, ১০৫, ১০৯, ১১৩, ১১৬, ১১৯, ১২২, ১২৫, ১২৯, ১৩২, ১৩৫, ১৩৮, ১৪১। এর আগে একবার মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছিল। সেবার তাঁর স্ত্রী চৈতালী প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। দেবব্রত মজুমদার ও রতন দে-ও নিজের ওয়ার্ড সংরক্ষিত হওয়ায় অন্যত্র সরে গিয়েছিলেন।

পুরসভা সূত্রে খবর, এবার পুরনো বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরকে বয়স এবং অন্যান্য কারণে দল টিকিট দেবে না। এদিন দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার ও উত্তর কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ কাউন্সিলরদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেন। দু’জনেই পরে জানান, “নেত্রীর নির্দেশ মেনে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নিবিড়ভাবে পালন করার জন্য সমস্ত কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড সভাপতিদের বলা হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement