প্রতীকী ছবি।
অর্ণব আইচ: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রকাশ্যে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। মনে করা হচ্ছে, ছাত্রমৃত্যু নিয়ে পুলিশের কাছে কী বয়ান দিতে হবে, তা শেখাতে কমপক্ষে ৪ বার জিবি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে প্রাক্তনীরা ‘ক্লাস’ নেয় বলেই অনুমান। সে কারণে ‘অভিশপ্ত’ রাতে পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, ওই ‘ক্লাসে’র ফলে পুলিশ দফায় দফায় যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে তাদের মধ্যে প্রায় সিংহভাগের বয়ান একইরকম।
গত ৯ আগস্ট রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথম বর্ষে ছাত্রটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত প্রাণ হারায় নাবালক পড়ুয়া। মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। বেশ কয়েকজনের নামও এফআইআরে উল্লেখ করেন মৃতের বাবা। সেই অনুযায়ী পুলিশ তদন্তে নামে। তবে হস্টেল প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। বেশিরভাগই হস্টেল ছেড়ে চলে যায়। তা সত্ত্বেও পুলিশ দফায় দফায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশের দাবি, তাদের সকলের বয়ান প্রায় একইরকম। আর তার জেরে পুলিশ মনে করছে, ছাত্রমৃত্যুর পর থেকে হওয়া পরপর চারবারের জিবি বৈঠকেই হয়তো বয়ানের ক্লাস নেয় প্রাক্তনীরা। আর বাঁধা গতে সেই অনুযায়ী কথা বলে যাচ্ছে সকলে।
তবে এই ঘটনার রহস্যভেদ খুব তাড়াতাড়ি হবে বলেই আশা তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চার প্রাক্তনী এবং পাঁচজন বর্তমান পড়ুয়া-সহ মোট ৯ জন। তাদের বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ২৮ আগস্ট ফের আদালতে পেশ করা হবে তাদের। পুলিশের স্ক্যানারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.