ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলার বিধানসভা, কলকাতা পুরভোটে বিপর্যয়ের পরই বাংলার রাজ্য কমিটিতে ব্যাপক রদবদল করেছে বিজেপি। বদল এসেছে সাংগাঠনিক জেলা ও তার নেতৃত্বেও। এর পরই দলের অন্দরে ব্যাপক উষ্মা। ঘরে-বাইরে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নেতা-নেত্রীরা। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ারও হিড়িক পড়ে গিয়েছে। গেরুয়া শিবিরকে এহেন নাকানিচোবানি খেতে দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)-ও। টুইটারে রীতিমতো বিজেপি এবং রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতাদের তুলোধোনা করেছেন তিনি।
এদিন টুইটারে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন, “নিজগুণে’ পরের পর উইকেট পড়ছে বিজেপির। আজ আরও পাঁচটি গেল মনে হচ্ছে। শিববাবু শুনলাম সব শুনে কৈলাশে গেছেন। আসল বাঙালি কাঁকড়াদের খুঁজিয়া পাইবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান – মুরলীধর লেন।” উল্লেখ্য, এদিনই দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন ৫ মতুয়া বিধায়ক। রাজ্য কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়কে ‘অবহেলা’র প্রতিবাদে তাঁরা এই পদক্ষেপ করেছেন বলে খবর। এদিকে দলীয় নেতৃত্ব এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
‘নিজগুনে’ পরের পর উইকেট পড়ছে বিজেপির | ”আজ আরও পাঁচটি গেলো মনে হচ্ছে | শিববাবু শুনলাম সব শুনে কৈলাশে গেছেন | আসল বাঙালি কাঁকড়াদের খুঁজিয়া পাইবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্টান – মুরলীধর লেন |
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) December 25, 2021
শনিবারই বিজেপির বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই তালিকা প্রকাশের পর বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (WhatsApp Group) থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পাঁচ বিধায়ক (MLA)। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী ও কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন সভাপতিদের মধ্যে মতুয়াদের প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। সে কারণেই তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও বিধায়করা প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.