দিব্যেন্দু মজুমদার ও ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: হুগলির আরামবাগ থেকে টানা সাতবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ নাম উঠেছিল গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে৷ সোমবার প্রয়াত হলেন প্রাক্তন সিপিএম নেতা অনিল বসু৷ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷
[ সাতসকালে নাগেরবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য রক্ষা পুরপ্রধানের]
হুগলির আরামবাগ লোকসভাকেন্দ্র থেকে যতবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন, ততবারই জিতেছেন৷ তবে ২০১২ সালে সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সক্রিয় রাজনীতি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন অনিল বসু৷ কিন্তু, তাঁর রক্তে ছিল বামপন্থা৷ হুগলিতে যখনই সিপিএমের কোনও সভা হত, তখন ছুটে যেতেন অনিলবাবু৷ সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে শুনতেন নেতা-মন্ত্রীদের ভাষণ৷ ১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর জন্ম অনিল বসুর৷ ১৯৮৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ লোকসভাকেন্দ্রে প্রথম ভোট দাঁড়ান তিনি৷ সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী অনিল বসু৷ সেই শুরু৷ পরের ছ’টা লোকসভা ভোটেও আরামবাগ লোকসভাকেন্দ্রে অনিল বসুকে আর কেউ হারাতে পারেননি৷ এলাকায় এতটাই প্রভাব ছিল যে, স্থানীয় বাসিন্দারা বলতেন, তাঁর কথায় নাকি বাঘে গরুতেও এক ঘাটে জল খায়! ২০০৪ সালে শেষবার আরামবাগের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন অনিলবাবু৷ ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের মুখে তৎকালীন বিরোধ দলনেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যে ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে৷ আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদকে দল থেকে বহিষ্কার করে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব৷ অনিল বসুর রাজনৈতিক জীবনেও ইতি পড়ে যায়৷
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে বাড়িতে পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙে গিয়েছিলেন সত্তরোর্ধ্ব অনিল বসুর৷ কোমরে রড বসানো হয়েছিল৷ কিন্তু, আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি প্রাক্তন এই সিপিএম নেতা৷ মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়তেন তিনি৷ ভরতি করতে হত হাসপাতালে৷ সোমবার সকালে সবশেষ৷ সাড়ে দশটা নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হলেন অনিল বসু৷
[ আর জি করে শিশু চুরিতে চাঞ্চল্য, সিসিটিভিতে ধরা পড়ল অভিযুক্তের ছবি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.