সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারদ তদন্তে বড়সড় অগ্রগতি। গ্রেপ্তার বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জা। নারদ তদন্তে এই প্রথম গ্রেপ্তরি। এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরাসরি ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। নারদ কাণ্ডের স্টিং অপারেশনে তাঁর ফুটেজ ধরা পড়েছিল।
সম্প্রতি সারদা এবং নারদা দুই মামলাতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সারদা মামলায় একদিকে যেমন পুলিসকর্তা রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তারির মরিয়া চেষ্টা চলছে, তারই পাশাপাশি চলছে নারদ মামলার তদন্তও। ইতিমধ্যেই, অধিকাংশ অভিযুক্তের ভয়েস স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এসএমএইচ মির্জাকেও ভয়েস স্যাম্পল টেস্টের জন্য ডাকা হয়েছিল। সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারির পর তাঁকে ব্যাংকশাল আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই প্রকাশ্যে আসে নারদ ভিডিও। ম্যাথু স্যামুয়েলের এই স্টিং অপারেশন নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে। তার পর হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে সিবিআই। নারদ নিউজের প্রধান ম্যাথু স্যামুয়েল দাবি করেন, টাকার বিনিময়ে ‘রাজনৈতিক রক্ষাকবচ’ ও ‘সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা ও মন্ত্রীরা। অভিযোগ, নারদ ভিডিওয় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, মির্জা-সহ প্রয়াত তৃণমূল নেতা ও কলকাতার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদ, প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র, অপরূপা পোদ্দার ও অন্য নেতাদের। অভিযোগ, ওই টাকার বিনিময়ে ম্যাথু স্যামুয়েলের কাল্পনিক সংস্থা ‘ইমপেক্স’কে বেআইনিভাবে সুবিধা পায়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা। এসএমএইচ মির্জাকে সেই ফুটেজে ম্যাথু সামুয়েলকে তৃণমূলের তথা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা যায়। যদিও, সেই ফুটেজের সত্যতা নিয়ে এখনও সন্দেহ আছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.