সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিপু সুলতান মসজিদের বহিষ্কৃত ইমাম বরকতির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন ট্রাস্টি বোর্ডের পৃষ্ঠপোষক শাহাজাদা আনোয়ার আলি৷ ‘টাকা’র বিনিময়ে মসজিদে একাধিক ‘অবৈধ বিয়ে’ দেওয়ার অভিযোগে বরকতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ টিপু সুলতান মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ‘ওয়াকফ এস্টেট অফ প্রিন্স গোলাম মহম্মদে’র৷
অভিযোগ, সৈয়দ মহম্মদ নুরুর রহমান বরকতি ইমাম থাকাকালীন নিজের দপ্তরে ‘বেআইনি’ ভাবে একটি ম্যারেজ রেজিস্টার রাখতেন৷ যেকোনও দম্পতির বিয়ে সংক্রান্ত নথিপত্র আদালতে পাঠানোর পরিবর্তে কাগজপত্র নিজের দখলেই রাখতেন তিনি৷ ট্রাস্টি বোর্ডের অভিযোগ, ইমাম থাকাকালীন ও পরে পদ খোয়ানোর পরও কখনও সেই নথিপত্র হাতছাড়া করেনি তিনি৷ ট্রাস্টি বোর্ডের দাবি, কোনও মসজিদের ইমাম নমাজে নেতৃত্ব ছাড়া বিয়ে দেওয়া বা অন্যান্য কাজ করতে পারেন না৷ বিধি অনুযায়ী, মুসলিম মহিলা ও পুরুষদের বিয়ে দেওয়ার কাজ করে থাকেন ‘কাজি’রা৷ অভিযোগ, বিধি না মেনে ‘কাজি’র অনুপস্থিতিতে মোটা ‘টাকা’র বিনিময়ে ইমাম বরকতি বিয়ে দিতেন৷
[বাংলায় কেন উৎসব হবে না? চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে বিরোধীদের খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর]
বহিষ্কৃত ইমাম বরকতির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সংবাদমাধ্যমে শাহাজাদা আনোয়ার আলি বলেন, ‘‘বরকতির দেওয়া জাল সার্টিফিকেট নিয়ে একাধিক অভিযোগ আমাদের কাছে আসছিল৷ পরে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়৷ করা হয় বহিষ্কার৷ কিন্তু, তারপরও এই একই কাজ চলতে থাকায় আমরা বরকতির বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছি৷ কারণ, শরিয়তে বলা আছে, দেশের আইন মেনে চলতে হবে। শরিয়তের দোহাই দিয়ে নিজের ইচ্ছামতো কাজ করা যাবে না৷ বরকতি শরিয়ত মানেননি৷ এর শাস্তি ওকে পেতেই হবে৷’’ তবে, যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই বরকতির দাবি, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না৷ এবং তাঁকে ট্রাস্টের তরফেও কিছুই জানানো হয়নি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.