ফাইল ছবি
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: গুরুতর অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জেরে শনিবার রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৭০-এর নিচে নেমে গিয়েছে। রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রাও কমেছে। যার জন্য তড়িঘড়ি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভরতি করা হয়েছে বলে খবর।
দীর্ঘদিন ধরেই সিওপিডি (COPD) -তে ভুগছেন বুদ্ধবাবু। বয়সও ৭০-এর পেরিয়েছে। ফলে রক্তে অক্সিজেন ও পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা বেশ সংকটজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে তাঁরা এ প্রসঙ্গে এখনই কিছু বলতে চান না। ইতিমধ্যে ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বুদ্ধবাবুর বেশকিছু রক্তপরীক্ষা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ১৮ মে করোনায় (Corona Virus) আক্রান্ত হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে তাঁকে রেখে চিকিৎসা শুরু হয়। কারণ, হাসপাতালে যেতে একেবারেই নারাজ ছিলেন বুদ্ধদেববাবু। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রীও কোভিড পজিটিভ হন। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করে চিকিৎসা শুরু হয়। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে আসেন। আচমকাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে অক্সিজেনের (Oxygen) মাত্রা অনেকটা নেমে যায়। উদ্বেগ বাড়তে থাকায় চিকিৎসকরা তাঁকে আর বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেননি। ভরতি করা হয় উডল্যান্ডস হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তার কৌশিক চক্রবর্তী, ধ্রুব ভট্টাচার্য, সৌতিক পণ্ডার অধীনে চিকিৎসা শুরু হয়। পরে তাঁর জন্য ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়। তাঁদের চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন বুদ্ধবাবু। জুনের ৯ তারিখ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন।
গত কয়েকদিন ধরেই ফের অসুস্থতা বাড়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা অনেকটাই কমেছে। গত তিনদিন ধরে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসক বাড়িতেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু সকাল এগারোটা থেকে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। খবর দেওয়া সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে। তিনি বাড়িতে যান। আর ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আলিমুদ্দিন নেতৃত্ব। কার্যত আচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছেন বুদ্ধবাবু। একাধিক বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাও রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.