বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: করোনা নিয়ে ভরতি হয়েছিলেন হাসপাতালে। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি শুকনো কাশি চিন্তায় রাখছিল। অন্যান্য সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হলেও কিছুতেই তা কমছিল না। তবে এখন অনেকটাই স্বস্তি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর (Buddhadev Bhattacharya) কাশি কমেছে। অক্সিজেনের মাত্রাও এখন অনেকটা স্বাভাবিক। মিনিটে ১ থেকে ২ লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। তাই টানা বাইপ্যাপ (BIPAP) দেওয়ারও প্রয়োজন পড়ছে না আর। মঙ্গলবার সকালে উডল্যান্ড হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হল বছর সাতাত্তরের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক পরিস্থিতির কথা।
গত ১৮ মে করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে তাঁকে রেখে চিকিৎসা শুরু হয়। কারণ, হাসপাতালে যেতে একেবারেই নারাজ ছিলেন বুদ্ধদেববাবু। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রীও কোভিড পজিটিভ হন। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করে চিকিৎসা শুরু হয়। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে আসেন। গত মঙ্গলবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে অক্সিজেনের (Oxygen) মাত্রা অনেকটা নেমে যায়। উদ্বেগ বাড়তে থাকায় চিকিৎসকরা তাঁকে আর বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেননি। ভরতি করা হয় উডল্যান্ডস হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তার কৌশিক চক্রবর্তী, ধ্রুব ভট্টাচার্য, সৌতিক পণ্ডার অধীনে চিকিৎসা শুরু হয়। পরে তাঁর জন্য ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়।
এদিন সকালের মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশ, যা স্বাভাবিক। পালস রেট প্রতি মিনিটে ৬৫। মাঝে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই মাত্রাও স্বাভাবিক। তাঁকে গ্লুকোজ এবং অন্যান্য খাবার তরলাকারে খাওয়ানো হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিজেই খেতে পারছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কথাও বলছেন স্বাভাবিকভাবে। সামান্য শ্বাসকষ্ট রয়েছে। করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ওষুধ রেমডেসিভির ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। সেই কোর্সও ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে দুটি ওষুধ এখনও চলছে। সবমিলিয়ে, গত এক সপ্তাহে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে বলেই সন্তোষপ্রকাশ করেছেন উডল্যান্ডসের চিকিৎসকরা। এখন কবে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.