ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠক সারলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Bannerjee)। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি। বরং ‘সাবধানী’ রাজীব বললেন, “এখনও বলার মতো কিছু হয়নি। দলীয় নেতৃত্ব ডেকেছিল তাই এসেছিলাম।” এদিনের বৈঠকের পরও কার্যত ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী।
শনিবারই হাইভোল্টেজ দলবদল ঘটেছে বাংলার রাজনীতিতে। শুভেন্দুর পর দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে ছিলেন আরেকমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভ প্রশমনে তাঁর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবারও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে আলোচনায় বসেছিলেন রাজীব। তবে সেই বৈঠক সম্পর্কে দলের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
এদিন বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “দলীয় নেতৃত্ব ডেকেছিল। দলের নির্দেশ পালন করে কর্মী হিসেবে এখানে এসেছি। এর আগেও পার্থদার বাড়িতে এসেছি। তখন তো কেউ জানতই না।” দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন। উত্তরে রাজীববাবু জানান, “নিন্দুকদের কাজই নিন্দা করা। আমি নিজের থেকে এখনও কিছু বলিনি।” বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, দলের মধ্যের কথা। সে কথা আমি সংবাদমাধ্যমকে জানাব না।” শুভেন্দু প্রসঙ্গে কিছুটা সাবধানী রাজীবের মন্তব্য, “সবারই একটা নিজস্ব মতামত থাকে। শুভেন্দু একটা আলাদা মানুষ, আমিও আলাদা মানুষ।” রাজীবের প্রতিক্রিয়া শুনে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, আপাতত খুব মেপে পা ফেলছেন তিনি। তাই সংবাদ মাধ্যমের সামনে এখনই কিছু বলতে রাজি নন।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর থেকেই তাঁকে সমর্থন জানিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন দলের আরও অনেকেই। দলের বিরুদ্ধে পরোক্ষ বক্তব্যে অসন্তোষ উগরে দিয়েছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নিজের কেন্দ্র হাওড়ার ডোমজুড় এবং জেলার বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সমর্থনে পোস্টার, হোর্ডিং দেখা যাচ্ছিল। এ নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে।
দেখুন ভিডিও
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.