Advertisement
Advertisement
শিশু

বড়বাজারে কীভাবে খুন শিশু? ঘটনার পুনর্নির্মাণে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা

৬ তলা থেকে বালিভর্তি দুটি পুতুল ফেলে ঘটনার পুনর্গঠন করা হয়।

Forensic team rebuilt the incident of Burrabazar child death incident

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:June 17, 2020 8:54 am
  • Updated:June 17, 2020 8:59 am  

অর্ণব আইচ: ৬তলার বারান্দা থেকে পুতুল নিচে ফেললেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। এভাবেই দুদিন আগে বড়বাজারের (Burrabazar) এনএস রোডের ওই বারান্দা থেকেই দুটি শিশুকে নিচে ফেলে দিয়েছিল শিবকুমার গুপ্তা। মঙ্গলবার চোখের সামনে এভাবে দুটি পুতুলকে ফেলতে দেখেও শিউরে উঠলেন প্রতিবেশীরা। বড়বাজারের দুটি শিশুকে উপর থেকে ফেলার ঘটনার এভাবেই পুনর্গঠন করল ফরেনসিক।

পুলিশ ও ফরেনসিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবকুমার যে খুনের অভিযুক্ত তা প্রমাণ করতেই প্রয়োজন ছিল এই ডামি ফেলার। সেই কারণে এদিন দুপুরের মধ্যেই বড়বাজার থেকে কেনা হয় দুটি বড় সফট টয়। দুটি শিশুর ওজন অনুযায়ী ভিতরে বালি পুরে দেওয়া হয়। এবার পুতুল দুটিকে নিয়ে ৬তলার বারান্দায় ওঠেন ফরেনসিক (Forensic) বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গে ছিল পুলিশও। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়েছেন যে, উপর থেকে পড়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। শরীরের বেশ কয়েকটি হাড় ভেঙেছে। অভ্যন্তরীণ জখমও রয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:করোনামুক্ত লেখা নেই হাসপাতালের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে, মহা বিপাকে প্রৌঢ়া]

এদিন পরপর দুটি পুতুলকে শিবকুমারের ঘরের সামনে থেকেই একাধিকবার ফেলা হয়। দেখা যায়, দু বছরের শিশুর দেহটি যেখানে পড়ে ছিল, সেখানেই পড়েছে ছোট পুতুলটি। বড় পুতুল পড়েছে ফাইবারের শেডের উপর, সেখানেই আটকে ছিল ৬ বছরের শিশুটি। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, শিশু দুটি যে খেলতে খেলতে পড়ে যায়নি, তাদের উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এটিই বড় প্রমাণ। পুলিশের দাবি, শিবকুমার বুঝেশুনে এমনভাবে দুই শিশুকে তুলে নিচে ফেলেছিল, যাতে তারা নিচে পড়ে। কারণ, জোরে ছুড়লে উল্টোদিকের বাড়ির বারান্দায় গিয়ে পড়ত তারা।

[আরও পড়ুন:করোনা পরিস্থিতিতে মাধ্যমিকের ফল কবে? বড়সড় আপডেট দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী]

এদিকে, অভিযুক্ত শিবকুমার গুপ্তা থানার ভিতর নির্লিপ্ত ও নিশ্চুপ। একবারের জন্যও ভুল স্বীকার করেছে না। রাতে লকআপের ভিতর নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে, সময়মতো খাওয়াদাওয়াও করছে। শিশু খুনের পরেও তিনি অনুতপ্ত নন। বিশেষ করে দু বছরের শিশু শিবমকে ফেলে দেওয়ার পরও যেভাবে সে অন্য শিশু বিশালকে ফেলেছে এবং আরও একটি শিশুকে ফেলার চেষ্টা করছিল, তাতে পুলিশও কিছুটা বিস্মিত। এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে পুলিশ মনোবিদদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এদিন শিশু খুনের ঘটনার জেরে অভিযুক্ত শিবকুমারের ফাঁসি দাবি করেছে পরিবার। একইসঙ্গে নিখোঁজ স্ত্রীর বিষয়েও শিবকুমারকে জেরা করা হচ্ছে। সে স্ত্রীকে হত্যা করেছিল কি না, সেই বিষয়টি জানতে তাকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement