সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্ঘটনার চারদিনের মধ্যেই মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের কারণ উল্লেখ করলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা৷ ভাঙা ব্রিজের ফরেনসিক রিপোর্টে বাম সরকারের উদাসীনতাকেই দায়ী করা হয়েছে বলে খবর৷
ট্রামলাইনের লোহার পাত না তুলে তার উপর একের পর এক পিচ-পাথরকুচি চাপিয়ে দেওয়ার জেরে বাম আমল থেকেই ধীরে ধীরে ওজন বাড়ছিল মাঝেরহাট ব্রিজের৷ ১৭ বছর আগের এক সরকারি সিদ্ধান্তের জেরেই ব্রিজটির অকাল পতনের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ভাঙা ব্রিজ ফরেনসিক পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯ বছর আগে মাঝেরহাট সেতুর উপর দিয়ে ট্রাম চলত। তারপর সেতুর উপর দিয়ে ট্রাম চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আগে ট্রাম চলাচল বন্ধ হলেও ট্রামের লাইন ব্রিজের উপর থেকে তোলা হয়নি।
[লাগামহীন জ্বালানির মূল্য, শনিবারও দাম বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের]
পরীক্ষা করে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ট্রামলাইন না তুলে তার উপরই বিটুমিন ও পিচ ফেলে ঢালাই করা হয়েছে। পিচের তলায় চলে গিয়েছে ট্রামলাইন। দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম লাইনের লোহার ট্র্যাকের ভারেই ক্ষয় হয়েছে মাঝেরহাট ব্রিজের। প্রতি মিটার ট্রামলাইনের ওজন প্রায় ১০০ কেজি। ফলে মোট কত মিটার ট্রামলাইন সেতুর উপর রয়ে গিয়েছে তাই এখন দেখছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, সেতুর উপর লাইনের ভারেই ক্ষয় হয়েছে সেতুর। সেতুর বিটুমিন ও পিচ উঠে গিয়েছে৷
[শহরে নিষিদ্ধ মাদক ‘ইয়াবা’র কারখানা! প্রচুর ট্যাবলেট-সহ ধৃত ৬]
মাঝেরহাট সেতুর উপর দিয়ে দিনের পর দিন ক্রমাগত ভারী গাড়ি যাওয়ায় ক্ষয় হয়েছে সেতুর। সেতু ভেঙে পড়ার পিছনে এই ক্ষয়ও দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আর কিসের জন্য এতবড় দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও খতিয়ে দেখছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্রাফিক পুলিশ। রাস্তায় নেমেছে অতিরিক্ত সরকারি বাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.