Advertisement
Advertisement

Breaking News

হরিদেবপুর কাণ্ডে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে ‘মেডিক্যাল বর্জ্য’

নজরে এলাকার নার্সিংহোমগুলি৷

Forensic lab to test mystery packages found in Haridevpur
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:September 3, 2018 9:16 am
  • Updated:September 3, 2018 9:23 am  

অর্ণব আইচ: ছিল রুমাল৷ হয়ে গেল বিড়াল৷ কয়েকঘণ্টার মধ্যে ‘ভোলবদল’ হয়েছে হরিদেবপুর কাণ্ডের৷ ভ্রুণ ও সদ্যোজাতর দেহ আচমকাই হয়ে গিয়েছে ‘মেডিক্যাল বর্জ্য’৷ কিন্তু ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি৷ তাই উদ্ধার হওয়া ‘জিনিস’ ফের ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে পরীক্ষার জন্য৷

রবিবারই হরিদেবপুরের এক পরিতক্ত এলাকা থেকে ভ্রূণ সন্দেহে উদ্ধার হয়েছিল ১৪টি প্যাকেট৷ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়-সহ ডিসি সাউথ-ওয়েস্ট নীলাঞ্জন বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে জানান, প্যাকেটগুলি থেকে ভ্রূণ উদ্ধার হয়েছে৷ প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তার মন্তব্য সরাসরি সম্প্রচারও করতে থাকে বাংলার একাধিক প্রথম শ্রেণির বৈদ্যুতিন মাধ্যম৷ কিন্তু, সন্ধ্যা নামতেই বদলে যায় পরিস্থিতি৷ পুলিশকর্তা নিজেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বার্তা পাঠিয়ে দাবি করেন, হরিদেবপুর কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত কিছুই মেলেনি৷ রবিবার সন্ধ্যায় এমআর বাঙুর হাসপাতালে খোলা হয় উদ্ধার হওয়ার ১৪টি প্যাকেট৷ কিন্তু প্যাকেটে মানুষের দেহাংশের কোনও সন্ধান মেলেনি বলে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্যাকেট থেকে কোনও ভ্রূণ জাতীয় কিছুই পাওয়া যায়নি৷ মিলেছে ‘মেডিক্যাল বর্জ্য’৷ যেহেতু প্যাকেট থেকে কোনও ‘ভ্রূণ’ সন্ধান মেলেনি, ফলে তা ময়নাতদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই বলেও জানানো হয়৷

Advertisement

[ভ্রূণ নয়, প্লাস্টিকে ছিল মেডিক্যাল বর্জ্য! হরিদেবপুর কাণ্ডে নয়া মোড়]

তবে সেই বর্জ্য আসলে কী, তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি৷ পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, সেগুলি আসলে শিশুদের ডায়াপার৷ তবে নিশ্চিত হতে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে ‘বর্জ্য’কে৷ সেই সঙ্গে কোনও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সেই বর্জ্য ফেলেছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে৷ এলাকায় ক’টি নার্সিংহোম রয়েছে তা চিহ্নিত করা হবে৷ সেই সূত্র ধরেই এই কাণ্ডের ধোয়াঁশা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে৷

ইঁদুর বিড়াল মরলেও পচা গন্ধ বের হয়৷ সেখানে ১৪টি অপরিণত শিশুর দেহ পড়ে বাড়ি থেকে একটু দূরেই৷ অথচ কোনও গন্ধ বের হচ্ছে না৷ তাহলে কি দেহগুলিতে ফরমালিনের মতো কোনও রাসায়নিক মেশানো হয়েছে, যাতে গন্ধ না বের হয়? এই জল্পনাই দিনভর চলে হরিদেবপুরে৷ পরে পুলিশ রিপোর্ট তাঁদের স্বস্তি দিয়েছে৷

[প্লাস্টিকে মোড়া ১৪টি ভ্রূণ উদ্ধার, হরিদেবপুরে চাঞ্চল্য]

কিন্তু পুলিশের তথ্য আচমকা পালটে যেতেই উঠেছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন৷ বিষয়টি কি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলল? ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে প্যাকেটে কী আছে তা কেন দেখলেন না পুলিশ কর্তারা? ফরেনসিক দল পাঠিয়েও কি কোনও লাভ হল? ‘মেডিক্যাল বর্জ্য’ কেন ওই পরিত্যক্ত ও পাঁচিল দিয়ে ঘেরা প্রায় ৭২ কাঠার বন্ধ জমিতে ফেলে রাখা হল? কারাই বা ফেলল? প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপিও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement